নিহাল খান, শাহজাদপুর: বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের দুর্দিন চলছে। দেশি কাপড় কেনা বেচা না থাকায়, বাংলাদেশি বাজারে ভারতীয় কাপড় ক্রমশই প্রবেশ করায় বিদেশী কাপড়ের দখলে হুমকীর মুখে দেশের তাঁত শিল্প। সেই সাথে রয়েছে পুজি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। বর্তমান যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে জেলার অনেক তাতী বন্ধ করে দিয়েছে তাঁত কারখানা। কেবল সিরাজগঞ্জেই বন্ধ হওয়ার পথে প্রায় দেড় লাখ তাঁত। উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় কাপড় তৈরি করে পোষাতে পারছে না অধিকাংশ তাঁতী। ফলে দরিদ্র তাঁতীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। ঝণগ্রস্থ হয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে নিজের শেষ সম্বল তাঁত। অনেকে আবার ঋণের বোঝা বইতে না পেরে এরই মধ্যে অনেকে করেছেন আত্মহত্যা। আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই এ পেশা পরিবর্তন করে অবলম্বন করছে অন্য পেশা। অনেক তাঁতী আবার শ্রমিক পাচ্ছে না, কারণ বেশিরভাগ শ্রমিকরাই ঝুকে পরছে অধিক মজুরীর কারখানায়। তাই দেশের ঐতিহ্য এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের পৃষ্টপোষকতার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টরা। এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা। এক সময়ের জৌলুস, আজকের তাঁত শিল্পের আরেক নাম। এক সময় তাঁত শিল্পের দ্বারা এ অঞ্চলের সুনাম দেশে -বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এই অঞ্চলের অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ এর তাঁতীদের তৈরি শাড়ি, লুঙী, গামছা, বিছানার চাদরের খ্যাতি ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু ভারতসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের বাংলাদেশের বাজার দখল আর তাঁতের কাপড়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যাওয়ায় সারাদেশের মতোই সিরাজগঞ্জের দেড় লক্ষাধিক তাঁতের অধিকাংশই এখন বন্ধ, নেই উৎপাদন। বেকার হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। লোকসান দিয়েও অনেকে তাঁতের চাকা রেখেছেন সচল। কারণ সচল না রাখলে অচল হয়ে যাবে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অনেকেই শুরু করেছিলেন মাত্র কিছুদিন আগেরও জমজমাট ব্যবসা তাঁতের কাপড়ের। তাদের কেউ কেউ এখন পথে বসেছেন, ঋণের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। পূর্ব পুরুষের ভালোবাসার তাঁত পেশা ছেড়ে, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকে বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন পেশা। ব্যবসায়ীরা বলছেন,তাঁত শিল্পকে বাঁচানোর একমাত্র পথ সহজ শর্ত আর স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা। দেশে বর্তমানে মোট তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। তাই সরকারের পক্ষ থেকে পুজি ও পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
সম্পর্কিত সংবাদ
শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুর চৌকি আদালতের আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কর...
জাতীয়
ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দিতে না পেরে মালপত্র রেখে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন
কভিড-১৯ এর প্রভাবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণসহ সব খাত স্থবির হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন রাজধানীর লাখ...
জাতীয়
খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চলছে: কৃষিমন্ত্রী
অপরাধ
শাহজাদপুরে ফসলী জমি রক্ষায় আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ; বন্ধ হয়নি বালু ভরাট কাজ
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ আগস্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : শাহজাদপুর উপজেলার পাড়কোলা মৌজায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্...
দিনের বিশেষ নিউজ
শাহজাদপুরে রাসুল (সাঃ) এর জীবন ও কর্ম বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নবী ও রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক
সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ
সাংবাদিক চকর মালিথা পরিচয়ে চাঁদা আদায়, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ফোনে তিনি নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক চকর মালিথা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। সে ইউএনওদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাক...
