ক্ষোভ জমেছিল বেশকিছু দিন ধরেই। রবিবার (৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর রাস্তায় আছড়ে পড়ল ভিড়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে জড়ো হলেন হাজার হাজার বিক্ষোভরত জনতা। গর্জে উঠল হুঙ্কার, আপনার সময় শেষ। এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন। একে তো এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। দ্বিতীয়ত করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ নেতানিয়াহু। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ মূলত এই দুই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সরকারবিরোধী উত্তাপ বাড়ছিল দেশের একাংশে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলছে। এর মধ্যেই গত মে মাসে অল্প কিছু ভোটে জিতে পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন তিনি। শনিবার (৮ আগস্ট) শুরু হওয়া বিক্ষোভকে গণতন্ত্র-বিরোধী কার্যকলাপ বলে চিহ্নিত করছে নেতানিয়াহু সরকার। তার দক্ষিণপন্থি লিকুড পার্টির দাবি বামেরা চক্রান্ত করে এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ‘চ্যানেল ১২’ একটি বার্তা সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে নেতানিয়াহুর দল। তাদের বক্তব্য, বামপন্থি আন্দোলনকারীদের উস্কানোর পিছনে একমাত্র ওদেরই হাত রয়েছে। উত্তেজনা ছড়াতে যা-যা করা সম্ভব, ওরা করেছে। লিকুড তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের অর্থনীতি ফেরানোর লড়াই করে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলিদের কী ভাবে আর্থিক সাহায্য করা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাদের অধিকাংশের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। মুখে নেতানিয়াহুবিরোধী ভয়ঙ্কর সব স্লোগান। বিক্ষোভস্থলের কাছাকাছি একটি বাড়ির গায়ে ভেসে উঠে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা বিশালাকৃতি ‘খোলা চিঠি’— আপনার সময় শেষ হয়েছে। এছাড়াও দেশের একাধিক সেতু, গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে অবরোধ করেন অসংখ্য মানুষ। বাণিজ্য নগরী তেলআবিবও জ্বলে ওঠে বিক্ষোভে। ইয়েল নামে এক তরুণী জানান, তেলআবিবের রেস্তরাঁয় কাজ করতেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন। ইয়েলের অভিযোগ, আমার মতো আরও অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কিন্তু সরকার কোনো সাহায্য করছে না। এই এক বার মনে হয়েছিল, এ বার নেতানিয়াহু হয়তো কিছু করবেন। কিন্তু নাহ, তিনি কিছুই করেননি।