শাহজাদপুরে নদীর পানিতে ডুবে গেছে দেড়’শ বিঘা জমির ধান

সোনাতুনী ইউনিয়নের লুৎফর রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, অসময়ে যমুনাসহ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলে রোপিত অবশিষ্ট বোরো ধান, তিল, বাদাম, পটলসহ বিভিন্ন ফসল কৃষকেরা সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারবেন কি না তা নিয়েও তাদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে ।

যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, গোহালা, ধলাই ও চাকলাই নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড়’শ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। পৌর এলাকার থানারঘাট, চুনিয়াখালীপাড়া, রূপপুর উরিরচরসহ উপজেলার কৈজুরি, সোনাতুনী, গালা ও জালালপুর ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের নিচু জমিতে রোপিত এসব কাঁচা ও আধাপাঁকা ধান ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই নিরূপায় হয়ে ডুবে যাওয়া কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার ডুবে যাওয়া ফসলের দিকে তাকিয়ে হাঁ-হুঁতাশ করছেন! 

জানা গেছে, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, গোহালা, ধলাই ও চাকলাই নদীতে পানি বাড়তে দেখা গেলেও এবার বেশ আগেভাগেই অকষ্মাৎ অস্বাভাবিকহারে এসব নদীতে পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীসহ অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে প্রায় ১ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল বড় চামতারা, ছোট চামতারা, বাঙালা, বানতিয়ার, শ্রীপুর, সোনাতুনী, মাকড়া, ধীতপুর, বানিয়াসিঙ্গুলী, দইকান্দিসহ পৌর এলাকার থানারঘাট, চুনিয়াখালীপাড়া, রূপপুর উরির চরের ফসলসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড়’শ বিঘা কাঁচা, আধাপাঁকা ধান, বাদাম, তিল, পটলসহ নানা ফসল নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকের বুকভরা আশা ক্রমশঃ হতাশায় পরিণত হচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙনের তান্ডবলীলাও শুরু হয়েছে। যমুনা অধুষ্যিত সোনাতুনী ইউনিয়নের বড় চামতারা চরের ভাটিতে নতুন করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হতে চলেছে।

রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সোনাতুনী ইউনিয়নের লুৎফর রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, অসময়ে যমুনাসহ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপুল পরিমান ফসল পানিতে ডুবে কৃষকের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। নদীতে যে হারে পানি বাড়ছে তাতে নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলে রোপিত অবশিষ্ট বোরো ধান, তিল, বাদাম, পটলসহ বিভিন্ন ফসল কৃষকেরা সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারবেন কি না তা নিয়েও তাদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে । ফলে কৃষকেরা মহাদুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।