সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর সদরের দ্বারিয়াপুর মোদকপাড়ার মহল্লায় মেসার্স বকতিয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক বখতিয়ারের বাড়ি থেকে ৫৬৪ লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন) ও ৪৪৭ কেজি ডাল চিনি উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
এদিকে দ্বায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে তবে, কিভাবে কি হল তা কিছুই জানেন না ট্যাগ অফিসার হিসাবে নিয়োজিত উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার এস এম মোখলেছুর রহমান।
জানা যায়, পণ্যগুলো গতসোমবার উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের গুধিবাড়ী বাজারে ১০৩৮ জন টিসিবির কার্ড হোল্ডারদের মধ্যে বিক্রির কথা ছিল। টিসিবির এ পণ্য গুলো ডিলার মেসার্স বকতিয়ার এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে টিসিবির কার্ড হোল্ডারের কাছে সুলভ মূল্যে বিক্রির কথা থাকলেও ডিলার বখতিতার প্রায় ২৫০টি কার্ডের পন্য এদিন কার্ড হোল্ডারের মধ্যে বিক্রি না করে তিনি পৌরসদরের মোদকপাড়ার তার নিজ বাড়িতে রেখে দেন। গোপন সংবাদদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা গতসোমবার রাত দশটার দিকে ডিলার বখতিয়ারের বাড়ি থেকে থানা পুলিশের সহযোগীতায় পণ্য গুলো জব্দ করে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। আরও জানা যায়, পণ্য গুলো থানাতেই রয়েছে। তবে মালামাল উদ্ধারের সময় মেসার্স বকতিয়ার এন্টানপ্রাইজের মালিক বখতিয়ারকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মেসার্স বকতিয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক বখতিয়ার জানান, আমি গতসোমবার পণ্য গুলো গুধিবাড়ী বিক্রয় করতে যাই, বিকাল ৪ টার দিকে কার্ডধারী লোকজন শেষ হয়ে যায়, তখন টিসিবির কার্ড হোল্ডার না থাকায় আমি তিন জন ইউপি সদস্যকে জানিয়ে মালগুলো নিয়ে আসি, আর বলে আসি যারা পায়নি তাদের বিষয়ে আমাকে বলিয়েন পরবর্তিতে মাল দেওয়ার সময় এ মালগুলো তাদের বুঝিয়ে দিয়ে দিবো। অপরদিকে ট্যাগ অফিসার হিসাবে নিয়োজিত উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার এস এম মোখলেছুর রহমান জানান পন্য শেষ করেই আমি এসেছি।
এদিকে শাহজাদপুর থানার এস আই পিষুস সাহা জানান, পণ্যগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ডিলার বখতিয়ারের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা’র মুঠোফোনে বারংবার ফোন দিয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।