শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নাববিলা চড়া থেকে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হবে। বীজ রোপণের পর এই অংশ থেকেই ফসল প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে বড় হয়। এটাকে টপ সয়েল বলে। এই টপ সয়েল একবার কেটে নিলে সে জমিতে আর প্রাণ থাকে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নারিনা ইউনিয়নের নাববিলা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের চড়ায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। কে এই ফসলি জমির মাটি কাটছে এমন প্রশ্নের জবাবে মাটি কাটার শ্রমিকরা বলেন মশিপুর মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম। কোথায় যাচ্ছে এ মাটি এমন প্রশ্নের জবাবে তারা মশিপুর মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষযে মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ নজরুল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি কোন কথা বলবেন না ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন আমি এমপির ইউনিয়নের লোক আপনাকে দেখে নিবো।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম কোন বক্তব্য দিতে রাজি নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটা গুরুতর অপরাধ। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।