“আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে“ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে চলা মানবিক শিক্ষক সুমনা সুমী’র সংগঠন “আলোকবর্তিকা“র উদ্দোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ২৫০ জন দুঃস্থ্য ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় শাহজাদপুর পৌর শহরের পাইলট মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনে মানবিক শিক্ষক সুমনা সুমির ব্যাক্তিগত অর্থায়নে আলোকবর্তিকার মাধ্যমে ২৫০টি পরিবারের নারী ও বয়স্কা প্রতিনিধিদের হাতে শীতের উষ্ণতা ছড়াতে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। এই প্রচন্ড শীতে পরিবারের জন্য কম্বল পেয়ে অনেকে মানবিক শিক্ষক সুমনা সুমীকে আবেগে জড়িয়ে ধরেন। এসময় আলোকবর্তিকার প্রতিষ্ঠাতা, পাইলট মডেল হাইস্কুলের এই মানবিক শিক্ষক সুমনা সুমী প্রত্যেককে গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। এসময় উদ্দোক্তা সুমনা সুমীর সাথে তার সংগঠন আলোকবর্তিকার সদস্যরা (ছাত্রছাত্রীরা) উপস্থিত থেকে সুশৃংখলভাবে কম্বল বিতরণে সহযোগীতা করেন।
শিক্ষক সুমনা সুমি বলেন, আমার ছাত্রদের আমি শুধু শিক্ষক নই তাদের মা হিসেবে তাদের মানবিক ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। তারা আমার আলোকবর্তিকার এক ঝাঁক আলোকছটা, তারা যেনো মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারে এজন্যই আমার এই প্রচেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। তাই আমি আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা দিয়ে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রতিনিয়ত সহযোগীতা করে চলেছি।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩ বছর পূর্বে আলোকবর্তিকার যাত্রা শুরু মানবাতার দেয়াল তৈরির মাধ্যমে, ধনী শ্রেণীর অপ্রয়োজনীয় পোশাক দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে যা এখনও চলামান রয়েছে। শিক্ষক সুমনা সুমির নিজস্ব অর্থায়নে ও কিছু প্রাপ্ত সহযোগীতা দিয়ে করোনা মহামারির তারা প্রায় ২ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে ও আলোকবর্তিকার আলোকছটাদের নিজ হাতে তৈরি ৫ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। কুরবানীর ঈদে গরু করবানী করে সেই মাংস দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পবিত্র রমজানে মাসজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ শো রোজাদারের ইফতারের জন্য তারা বিভিন্ন ধরণের খাদ্য তৈরী করে বিতরণ করেছে।