শাহজাদপুরে নিরীহ এলাকাবাসী ব্যবসায়ী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের তান্ডব

শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান এ বিষয়ে বলেন, ‘এখনো কোন পক্ষেরই অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নয়ন আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারের মাঝে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে এবার নিরীহ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ওপর নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা সন্ত্রাসী তান্ডবলীলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা নিরীহ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ওপর স্বসস্ত্র হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, হামলাকারীরা ৫টি দোকান কুপিয়েছে ও ১ ভূষির দোকান থেকে ৪০ হাজার টাকাও লুট ও ৫টি দামী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনেদুপুরে ঘটেছে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড়ধুনাইল বাজারে! এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিনের সমর্থকেরা এদিন বেলা ১১ টায় রূপবাটি ইউনিয়নের বড়ধুনাইল বাজার এলাকায় ভোট চাইতে যান। এ খবর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মজিদ মোল্লা ও তার সমর্থকেরা জানতে পেরে এদিন সাড়ে ১১ টার দিকে আব্দুল মজিদ মোল্লার ভাই শেলাচাপড়ি গ্রামের ইউসুফ মেম্বার ও রজবের নেতৃত্বে ১৫ টি মোটরসাইকেলে ৩৫/৪০ জন নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার পাইপ ও হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড়ধুনাইল বাজারের ভরাহাটবারে অতর্কিত নিরীহ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, বিপুল (১৭), রফিক মাষ্টার (৪৫), অমূল (৪০), সানোয়ার (৩৫), সাইফ (২৮), সঞ্চয় (১৮), রিপন (১৯)। আহতদের স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।এদিকে, হামলা চলাকালে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা বড়ধুনাইল বাজারের রজব আলীর ভূষির দোকান থেকে ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সেইসাথে হামলাকারীরা রামদা দিয়ে ওই বাজারের শাওন টেলিকম, সানোয়ার ও সেলিমের দোকান কুপিয়ে ভাংচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সমবেত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারীদের একটি মোটরসাইকেল আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান এ বিষয়ে বলেন, ‘এখনো কোন পক্ষেরই অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’