সিরাজগঞ্জে নাতী রিফাত হত্যার দায়ে দাদীর মৃত্যুদন্ড

এ বিষয়ে সরকার পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জানান,২০১৮ সালের ১৭ জুন দুপুরে খাওয়ার পর আসামী কুলছুম খাতুনের নাতী স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের ছাত্র রিফাত হোসেন (৭) বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় কুলসুম খাতুন তাকে ডেকে পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া শেখপাড়া গ্রামে নাতী রিফাত হোসেন(৭)কে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাদী কুলসুম খাতুন (৩৭)কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির। আসামীর উপস্থিতিতে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন। কুলসুম খাতুন ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী।  

এ বিষয়ে সরকার পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জানান,২০১৮ সালের ১৭ জুন দুপুরে খাওয়ার পর আসামী কুলছুম খাতুনের নাতী স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের ছাত্র রিফাত হোসেন (৭) বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় কুলসুম খাতুন তাকে ডেকে পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন রিফাতের বাবা চাঁন মিয়া বাদী হয়ে কুলসুম খাতুন ও সাইদুল হককে আসামী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামী কুলসুম খাতুন হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। 

দীর্ঘ শুনানী শেষে এদিন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক  ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামী কুলসুম খাতুনকে মৃত্যুদন্ডসহ নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। 

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামী সাইদুল হককে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন। তিনি এ রায়ে বাদী পক্ষ সোন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।