সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা গ্রামে অবৈধ বালুর পাইপে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। প্রায়ই ঘটছে ছোট-খাটো দূর্ঘটনা এ যেন দেখার কেউ নাই। আর বৃষ্টি হলে হয়ে যায় মরন ফাঁদ। তারপরও কোন এক অদৃশ্য কারনে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিরব।
এ ভাবেই রাস্তা আটকিয়ে টানানো হয়েছে পাইপ
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোরজনা বাজার সংলগ্ন ব্রীজের নিচ থেকে একটি পাইপ বাচড়া-পোরজনা বাজার এর সংযোগ রাস্তার উপর দিয়ে গিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবৈধ বালুর পাইপের জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীর। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই অবৈধ বালুর পাইপ জন্য রিক্সা অথবা ভ্যান যোগে তারা ভারি মালামাল নিয়ে যেতে পরতে হয় বিপাকে। অনেক সময় ভারি মালামাল পার করার জন্য মানুষ ভাড়া করে রিক্সা অথবা ভ্যান পার করতে হয়। আর ছোটখাটো দূর্ঘটনা তো নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। যারা অবৈধ বালুর পাইপ টানিয়েছেন তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে কিছু বলতে ভয় পায় বলেও জানায় এলাকাবাসী।
বৃষ্টি হলে হয়ে যায় যেন মরন ফাঁদ
অপরদিকে রানীখোলা, উল্টাডাব, পোরজনা গুচ্ছগ্রাম ও পোরজনা গ্রামসহ প্রায় ৭/৮টি গ্রামের সাথে পোরজনার বাজারে আসার সংযোগ রাস্তায় আর একটি অবৈধ বালুর পাইপ রয়েছে। তাও অবৈধ ভাবে বালুর পাইপটি টানিয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিল্ডিং ঘেঁসে। এখানেই রয়েছে একটি পরিবার পরিকল্পনা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যলয় ও রয়েছে একটি সনাতন ধর্মালম্বীদের আশ্রম। অবৈধ পাইপ ডিঙ্গিয়ে চিকিৎসা নিতে আসতে হচ্ছে গর্ভবতি মায়েদের। তার কাছে এ যেন এক যুদ্ধ। আশ্রমে আসা ভক্তদের পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। পোরজনায় বাজার থেকে গো-খাদ্য সহ খুচরা দোকানদের মালামাল কিনে নিয়ে যেতে পরতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। কারা এই পাইপ টানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারাও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাইনি।
পোরজনা গুচ্ছ গ্রামের প্রবেশ পথে
এ বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমি নতুন এসেছি পাইপটি আমি দেখেছি। আমি তাদেরকে ডেকে এনে পাইপ সরানোর কথা বলবো। এবং আমার উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো।
এ বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, আমি তাদেকে বলেছি পাইপ সরানোর জন্য তারা যদি না সরিয়ে নেয় তাহলে বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানাবো।
এ বিষয়ে নবাগত সহকারী কমিশনার(ভূমি) লিয়াকত সালমান প্রতিবেদককে বলেন আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।