শাহজাদপুরে ৩০০ ফিট রাস্তার জন্য চরম দূর্ভোগে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নে মাত্র ৩০০ ফিট উঁচু সড়ক না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি ও অল্প বন্যা হলেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জামিরতা জহুরা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ প্রায় সাতশতাধীক শিক্ষার্থীর। বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি উঁচু ও পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও অনেক কমে যায়।

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নে মাত্র ৩০০ফিট উঁচু সড়কনা থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিও অল্প বন্যা হলেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জামিরতা জহুরা খাতুন উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ প্রায় সাতশতাধিক শিক্ষার্থীর। বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি উঁচুও পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে । এসময় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও অনেক কমে যায়।

বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে নৌকার জন্য দারিয়ে ছাত্রীরা

১৯৯৪খ্রিষ্টাদে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি কিন্তু আজ বিদ্যালয়টির ২৬ বছর পার হলেও আজও পায়নি একটি পাকা রাস্তা। বর্ষার প্রায় পাঁচ মাস কাঁদা, ডিঙ্গি নৌকা ও হাটু পানি ভেঙ্গেই উপস্থিত হতে হয় বিদ্যালয়টিতে। প্রায় বছর তিনেক আগে রাস্তাটিতে ইটের সোলিং পাড়া হলেও অনান্য রাস্তা থেকে ৫/৬ফিট নিচু হওয়ায় ভোগান্তিটি ভোগান্তিই রয়ে গেলো। তাই বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়েন চরম বিপাকে।

নৌকায় উঠছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা

অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট একাধিকবার কাচা রাস্তাটি ৫/৬ ফিট উচু করে পাকা করনের দাবি তুলেও কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

পার হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা

বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমাদিতে আসাখুশি পারভিন, নুপুর খাতুন ও কামনাসহ আরও কয়েকজন ছাত্রীর সাথে কথা হলে তারা বলে, বর্ষাকালে জুতা-স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় আর পানি বেশি হলে নৌকায় আসতে হয়। অনেক সময় আমরা পড়ে গিয়ে বই খাতা নষ্ট করে ফেলি। আর যখন নৌকাও চলতে পারে না আবার হাঁটুর সমান পানিও থাকে তখন বিদ্যালয়ে আসতে পারিনা। আমরা চাই আমাদের প্রাণের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তাটি উঁচু করে দেওয়া হক। আমরা যেন ভালো ভাবে স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারি।

বিদ্যালয়ে আসার জন্য নৌকার অপেক্ষায় ছাত্রীরা

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, হাঁটুর উপরে পানি ডিঙ্গিয়ে ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। পুরো রাস্তা জুড়েই পানি। গতবছর বর্ষার সময় বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আসার সময় কয়েক জন ছাত্রীসহ ডিঙ্গি নৌকা ডুবে যায়। এতে কোন হতাহত হয়নি আশেপাশের মানুষ এসে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে। বিপদজনক ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় পার হতে নিয়ে প্রায় বছরই এমন ছোট খাটো দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। যারা সাতাঁর জানে না তাদেরকে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চায় না অভিভাবকরা। তাই তিনি সাতশতাধিক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আশা-যাওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে ৭/৮ ফিট রাস্তা উঁচু সহ পাকা করনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

হাতে হাত রেখে নৌকায় ছাত্রীরা

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, আমি রাস্তাটি উচুঁ করনসহ পাকা রাস্তার জন্য ইউএনও মহোদয়ের নিকট আবেদন করেছি এবং তিনি বিদ্যালয়টির নতুন ভবন উদ্বোধন এর সময় অতিথি হিসাবে এখানে এসে ছিলেন তখন তিনি জামিরতা সিএনজি মোড় থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত উচুঁ করনসহ পাকা রাস্তা করে দেওয়ার কথা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, অল্প বন্যা ও বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তাটি খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। বর্তমানে পরিষদে কোন প্রকল্প নেই । তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তা থেকে পানি নেমে গেলে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে সমস্যাটি সমাধানের দ্রুত চেষ্টা করবো।

 দ্রুত ইট তুলে নিয়ে মাটি ভরাট করে রাস্তা উচু করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসন করে হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা।