শাহজাদপুরে ন্যায্যমূল্যের চাউল-আটা একই ব্যক্তি একাধিক বার নেওয়ার অভিযোগ

অভিযোগকারিরা জানান, রেশন কার্ড না থাকায় একই ব্যক্তি একাধিক বার চাউল-আটা নিচ্ছে। তারা আরো জানান,প্রতি কোজি চাউল ৩০ টাকা ও প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু একই ব্যক্তি বার বার নেওয়ায় তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

করোনাকালিন কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের দ্বারিয়াপুর বাজারে ন্যায্যমূল্যের চাউল ও আটা বিক্রয় কেন্দ্র  থেকে একই ব্যক্তি বার বার  নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এ চাউল ও আটা ক্রয় করতে আশা একাধিক ব্যক্তি এ অভিযোগ করেছে। গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার থেকে পৌর এলাকার ৪ স্থান থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম আগামী ৭ আগস্ট শনিবার পর্যন্ত চলবে। স্থান গুলি হল, দ্বারিয়াপুর বাজার,ফকরুল মেমোরিয়াল স্কুল,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা চত্বর। 

অভিযোগকারিরা জানান, রেশন কার্ড না থাকায় একই ব্যক্তি একাধিক বার চাউল-আটা নিচ্ছে। তারা আরো জানান,প্রতি কোজি চাউল ৩০ টাকা ও প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায়  গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু একই ব্যক্তি বার বার নেওয়ায় তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার দ্বারিয়াপুর বাজারের ন্যায্যমূল্যের ক্রয় কেন্দ্র চাউল-আটা কিনতে ফুলমতি বেগম (৪০) জানান, ন্যায্য মূল্যের চাউল ও আটা কিনতে এসে প্রচন্ড ভীড়ের কারণে ২ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম। এরপর চাউল-আটা কিনতে সক্ষম হয়েছি।  তিনিসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন,যাদের গায়ে জোড় আছে তারা ঠেলাঠেলি করে ন্যায্যমূল্যের চাউল-আটা ক্রয় করতে পারলেও প্রচন্ড ভীড়ের কারণে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার এই ভীড়ের মধ্যেই একাধিক বার চাউল-আটা নিচ্ছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা ভাল চাল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করায় চালের চাহিদা রয়েছে। একজন মহিলা বা পুরুষ  ৫ কেজি আটা ও ৫ কোজি চাউল ন্যায্য মূল্যে একই সাথে কিনতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, ন্যায্য মূল্যের চাউল ও আটা বিক্রির সময় বাড়ানোর বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানানো হবে।

এ বিষয়ে দ্বারিয়াপুর বাজারের ন্যায্যমূল্যে চাউল-আটা বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলার রইচ উদ্দিন বলেন, সুবিধা ভোগীদের জন্য কার্ডের প্রচলন করা হলে একই ব্যক্তি নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একবারই পণ্য ( চাউল-আটা ) কিনতে পাবেন। তাই তিনি রেশন কার্ড সিসটেম চালুর জোর দাবী জানান।