সিরাজগঞ্জে ছেলেকে লুকিয়ে রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মিথ্যা অপহরণ মামলার ১ বছর পর ভিকটিম শাহীন আলমকে (২২) উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। সে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
রোববার দুপুরের দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি (ডিবি) মানিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৪ জুলাই প্রতিপক্ষ হোসেন আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ভিকটিমকে লুকিয়ে রেখে বাদি এ মিথ্যা মামলা দিয়ে আপোষের শর্তে আসামিদের কাছে টাকা দাবি করছিল।
ওই বছরের ১৭ জুলাই এ মামলাটির তদন্তভার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম’র দিক নির্দেশনায় এ মামলার তদন্ত শুরু করা হয় এবং এ তদন্ত শেষে পুলিশ জানতে পারে বাদি ভিকিটিমকে লুকিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওইদিন রাতে ডিবি পুলিশ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। ভিকিটিম শাহীন আলম তার দুই বন্ধু জহুরুল ও মিন্টুর সাথে গাজীপুরে থাকতো। ২০২০ সালের ১৪ জুন গাজীপুর থেকে ৩বন্ধুই নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। আসতে দেরি হওয়ায় তারা উল্লাপাড়া উপজেলার বড় লক্ষীপুর গ্রামের জহুরুলের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এ সময় গ্রামবাসী তাদেরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্দেহ করে আটক করে এবং চর-থাপ্পর দেয়ার পর জহুরুলের বাবা-মার জিম্মায় দেয়।এ ঘটনার ২ দিন পর শাহীন আলম তিন বন্ধুসহ নিজ বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে এ তথ্য ফাঁস করে। এতে তার মা ছেলে শাহীন আলমকে লুকিয়ে রেখে উল্লাপাড়া উপজেলার বড় লক্ষীপুর গ্রামের হোসেন আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট (উল্লাপাড়া) থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।