মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, স্থানীয় প্রতিনিধিঃ শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১৩টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। নিম্ন এলাকার বহু আবাদী জমি, বাড়ি-ঘর পানির নিচে রয়েছে । বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষ জনের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বোনা আমন, মাসকালাই ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পথঘাট ও কাচা বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এলাকার হতদরিদ্র পানি বন্দি প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে অনেক পরিবার খাদ্যাভাবে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে। প্রশাসনের এদিকে দৃষ্টিপাত না থাকায় এখনও পর্যন্ত পানি বন্দি এসব হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌছেনি। বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে অধিকাংশ টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ময়লা রোগ বাহিত নোংরা জীবানুযুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। এত
মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, স্থানীয় প্রতিনিধিঃ শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১৩টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। নিম্ন এলাকার বহু আবাদী জমি, বাড়ি-ঘর পানির নিচে রয়েছে । বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষ জনের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বোনা আমন, মাসকালাই ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পথঘাট ও কাচা বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এলাকার হতদরিদ্র পানি বন্দি প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে অনেক পরিবার খাদ্যাভাবে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে। প্রশাসনের এদিকে দৃষ্টিপাত না থাকায় এখনও পর্যন্ত পানি বন্দি এসব হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌছেনি। বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে অধিকাংশ টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ময়লা রোগ বাহিত নোংরা জীবানুযুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে ওই সব এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া সহ পানি বাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের রুপপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিনের চরের অধিকাংশ বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় হতদরিদ্র তাত শ্রমিক পরিবারের এসব সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। পৌরসভা কার্যালয় থেকে মাত্র অর্ধ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ পানিবন্দি এসব পরিবারের এখনও কোন খোজ খবর নেয়নি। এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ জানান, পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা পিড়ীত এসব হতদরিদ্রদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে যমুনার পানি বিপদ সীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরবাসী ঝুকির মধ্যে পড়েছে। ফলে নদীতে তীব্র ঘুর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নদীর পশ্চিম তীরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।