তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস চুরির কোন প্রমান পাননি। তারপরেও তার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল ওয়াদুদের উপস্থিতিত্বে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ৬ সদস্যর একটি তদন্ত টীম শাহ্ মখদুম ক্যালেন্ডার মিলে এ অভিযান চালায়। এ অভিযানকালে তদন্ত দল প্রায় ৪ ফুট মাটি খুরে গ্যাসের মেইন লাইন থেকে মিটার পর্যন্ত পাইপ লাইনের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করেন। এ সময়ে সেখানে কোন ত্রুটি বা অবৈধ গ্যাস চুরির অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। ফলে মিল মালিক হায়দার আলী এ ব্যাপারে তদন্ত দলের কাছে লিখিত পত্র চান। তিনি বলেন, তদন্ত দল তা দিতে স্বীকারও করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রহস্য জনক কারনে তা দেননি। ফলে তিনি আবারও হয়রানির স্বীকার হওয়ার আশংকা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে হাজী হায়দার আলী অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল ক্ষতি সাধনের জন্য বার বার তার মিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে । পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী তা যাচাই বাছাই না করেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বার বার অভিযান চালিয়ে ক্ষতি সাধন করছে। তিনি এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিমের ব্যবস্থাপক শৈলেন্দ্রনাথ বসাক, উপ-ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি কন্ট্রোলার) আমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হক খান, সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী বাঘাবাড়ি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন,উপসহকারী প্রকৌশলী নাছিম আহমেদ, শাহজাদপুর থানার এ এস আই সুলতান প্রমুখ। এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির বাঘাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালায়ের ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়া এ ব্যাপারে তার কোন কর্তৃত্ব নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এ অভিযান করা হয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবেন। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক বলে তিনি দাবি করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,শাহজাদপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন আকন্দ, সুতা ব্যবসায়ী আমোদ আলী, গোলাম কিবরিয়া তারা, হাজী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
