ঝুকি নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরাঃ ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নিচে

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ অবিরাম ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা, করতোয়া ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। স্কুল খোলা থাকায় কোমলমতি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাকো, ডিঙ্গি নৌকা অথবা কলার ভেলায় চড়ে ক্লাসে যাচ্ছে। স্কুলগুলি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্লাস চলছে পাশের বাড়ির উঠোনের খোলা আকাশের নিচে। কাঠফাটা রোদে পুরে এসব কোমলমতি শিশুরা চরম কষ্ট করে ক্লাস করছে। প্রচন্ড রোদে পুরে অধিকাংশ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অপরদিকে বাঁশের সাকো পার হতে অনেক শিশু দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।


Jahan060915 (1)আজ রোববার দুপুরে চর কৈজুরী গ্রামে অবস্থিত সাহেবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার্থীদ

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ অবিরাম ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা, করতোয়া ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। স্কুল খোলা থাকায় কোমলমতি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাকো, ডিঙ্গি নৌকা অথবা কলার ভেলায় চড়ে ক্লাসে যাচ্ছে। স্কুলগুলি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্লাস চলছে পাশের বাড়ির উঠোনের খোলা আকাশের নিচে। কাঠফাটা রোদে পুরে এসব কোমলমতি শিশুরা চরম কষ্ট করে ক্লাস করছে। প্রচন্ড রোদে পুরে অধিকাংশ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অপরদিকে বাঁশের সাকো পার হতে অনেক শিশু দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

আজ রোববার দুপুরে চর কৈজুরী গ্রামে অবস্থিত সাহেবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার্থীদের এ করুন দুরাবস্থা দেখা গেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনও না হওয়ায় ঝুকির মধ্যেও ক্লাস অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন। অপরদিকে বন্যার পানিতে নতুন করে উপজেলার দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও ১২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি ডুবে গেছে। এ ছাড়া ৩ শতাধিক বিঘার বোনা আমন ধান ও সব্জি ক্ষেত ডুবে গেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ১ মেট্টিকটন করে চাল সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

অধিকাংশ বন্যা দূর্গতরা অভিযোগ করেছে,তারা এখনো কোন ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে এসে পৌছায়নি। ফলে তারা অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ ব্যপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও দূর্গতদের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দূর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর আবেদন জানানো হয়েছে। হাতে এসে পৌছালে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।