অনলাইন ডেস্ক:: যমুনা নদী থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি তিন লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামে। ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রোববার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তারা।
নিহতরা হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন মণ্ডল (৩০), হাদিকুলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৮) ও তার পালিত নাতি শিশু জাইমতি (৪)। নাসরিন সম্পর্কে মেহেরুনের ভাতিজি।
রোববার বেলা ১১টার দিকে জাইমতিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুসহ ওই দুই নারী নাসরিন ও মেহেরুন শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে নাসরিন আক্তারের সাথে তার স্বামী বাদল মণ্ডলের সর্বশেষ কথা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন সোমবার দুপুরে এনায়েতপুর উপজেলায় যমুনা নদী থেকে দুই নারী ও এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর টিভিতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এরই ভিত্তিতে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। একটি অনলাইন ও ফেইসবুকে নিহত ওই জনের ছবি দেখে পরিবারের লোকজন তাদের ব্যাপারে কিছুটা নিশ্চিত হয়। পরে স্বজনরা সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহগুলো সনাক্ত করেন।
এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে যমুনা নদীতে দুটি বস্তা ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদী থেকে বস্তা দুটি উদ্ধার করে। বস্তা খুলে একটির ভেতর এক শিশু ও নারী এবং অপর বস্তায় আরেক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের স্বজনেরা সোমবার রাতে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।