হত্যা সন্দেহের তীর সৎ বাবার দিকে!

নিজস্ব প্রতিনিধি : শাহজাদপুর থেকে গত শনিবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত শিশুর অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত শিশুটি বেলকুচি উপজেলার ভাঙাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনগাতী গ্রামের আসাদুল ইসলাম ও সাহিদা বেগমের ছেলে শাহাদত হোসেন সাদ (৭)। আর এই ঘটনার মূলহোতা হিসেবে শিশুটির সৎ বাবা মনিরুল ইসলাম (৩০) কে সন্দেহ করছে পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় স্বজন। শাহজাদপুর থানা পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বেলকুচি উপজেলায় ৭ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সে মোতাবেক নিখোঁজ শিশুর স্বজনদের খবর দেয়া হলে পোশাক দেখে শিশুর লাশ তার মা সনাক্ত করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী জানান, ‘দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় সাদের বাবা মা’র অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়। ৮/৯ বছর পূর্বে একই গ্রামের আসাদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে জন্ম নিয়েছিলো শফিকুল ইসলাম সাদ। চরকায় সুতা কেটে ছেলে সাদকে নিয়ে কোনমতে বেঁচে ছিল মা সাহিদা। দশ মাস আগে প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী ফরিদ (৩০)’রর সাথে বিয়ে হয় সাহিদার। ফরিদ অলস হওয়ায় সাহিদাকেই সংসার চালাতে হতো।’ সাহিদা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই সাদ’কে সহ্য করতে পারতো না স্বামী ফরিদ।

নিজস্ব প্রতিনিধি : শাহজাদপুর থেকে গত শনিবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত শিশুর অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত শিশুটি বেলকুচি উপজেলার ভাঙাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনগাতী গ্রামের আসাদুল ইসলাম ও সাহিদা বেগমের ছেলে শাহাদত হোসেন সাদ (৭)। আর এই ঘটনার মূলহোতা হিসেবে শিশুটির সৎ বাবা মনিরুল ইসলাম (৩০) কে সন্দেহ করছে পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় স্বজন। শাহজাদপুর থানা পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বেলকুচি উপজেলায় ৭ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সে মোতাবেক নিখোঁজ শিশুর স্বজনদের খবর দেয়া হলে পোশাক দেখে শিশুর লাশ তার মা সনাক্ত করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী জানান, ‘দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় সাদের বাবা মা’র অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়। ৮/৯ বছর পূর্বে একই গ্রামের আসাদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে জন্ম নিয়েছিলো শফিকুল ইসলাম সাদ। চরকায় সুতা কেটে ছেলে সাদকে নিয়ে কোনমতে বেঁচে ছিল মা সাহিদা। দশ মাস আগে প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী ফরিদ (৩০)’রর সাথে বিয়ে হয় সাহিদার। ফরিদ অলস হওয়ায় সাহিদাকেই সংসার চালাতে হতো।’ সাহিদা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই সাদ’কে সহ্য করতে পারতো না স্বামী ফরিদ। ফরিদ গত ১৯ তারিখে হাটে সদাই করতে যাবে বলে সাদ’কে তেরি করে দিতে বলেছিলো। সাদের পছন্দের জিন্সের ফুলপ্যান্ট আর সাদা ফিরোজা নীলের চেকের গেঞ্জি পরিয়ে হাটে নিয়ে গিয়েছিলো ফরিদ। সেদিন থেকে ফরিদ ও সাদ নিখোঁজ।’ এদিকে, নিহত শিশুর মা, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর ধারণা শিশু সাদকে তার সৎ বাবা হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা সাহিদা তার স্বামী ফরিদকে আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।