শাহজাদপুরে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাময়ীক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর্থিক আয়-ব্যয়ে অসঙ্গতী, অপচয়, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অপরাধে গত ৮ মার্চ রোববার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশের মাধ্যমে এ দিন প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি পিএম কামরুজ্জামানকে আহব্বায়ক করে প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ২ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক পিএম কামরুজ্জামান জানান, ‘প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীর কাছে অর্থ ও নিরীক্ষা কমিটি একাধিকবার পত্র মারফত বিদ্যালয়ের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক তা দেননি। প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি করার প্রবনতা মাত্রাতিরিক

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর্থিক আয়-ব্যয়ে অসঙ্গতী, অপচয়, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অপরাধে গত ৮ মার্চ রোববার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশের মাধ্যমে এ দিন প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি পিএম কামরুজ্জামানকে আহব্বায়ক করে প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ২ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক পিএম কামরুজ্জামান জানান, ‘প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীর কাছে অর্থ ও নিরীক্ষা কমিটি একাধিকবার পত্র মারফত বিদ্যালয়ের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক তা দেননি। প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি করার প্রবনতা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে সাময়ীকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগেরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তারও কোন হিসাব না দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপন করে আসছেন। তাই পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে অর্থ কমিটির আহব্বায়ক ফিরোজ হোসেন জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস পরপর অর্থ কমিটির কাছে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলী কখনই সে হিসাব দেননি। তাকে এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি প্রদান করা হলেও তিনি সে চিঠিরও কোন কোন জবাব দেননি। ফলে অর্থ কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদকে অবগত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিরীক্ষা কমিটির আহব্বায়ক বাবুল হোসেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ৩ মাস পরপর অর্থ কমিটির কাছে দাখিল করা বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব সঠিক আছে কি না, তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য নিরীক্ষা কমিটির কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলী তা করেননি। তাকে এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি প্রদান করা হলেও তিনি তারও কোন জবাব দেননি। ফলে নিরীক্ষা কমিটির পক্ষ থেকেও বিষয়টি লিখিতভাবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদকে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ারেছ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থতার কথা বলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।