অবশেষে বন্দিদশা ঘুচছে সেই পিসিআর মেশিনটির

খুব শিগগিরই মেশিনটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে

দীর্ঘদিন প্যাকেটবন্দি থাকার পর অবশেষে ব্যবহারের জন্য খোলা হয়েছে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনটিকে।

ঢাকা ট্রিবিউনসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত মেশিনটিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। সোমবার (১১ এপ্রিল) তিনি নিজে হাসপাতালে গিয়ে পিসিআর মেশিনটির প্যাকেট উন্মোচনের ব্যবস্থা করেন।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে দক্ষ জনবল না থাকলেও খুব শিগগিরই মেশিনটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সাড়ে দশমাস আগে দেড়কোটি টাকা ব্যায়ে কলেজ প্রকল্পের ফান্ড থেকে এটি কেনা হয়েছিল। নতুন ভবন এবং আধুনিক ও মানমম্মত পরীক্ষাগার না থাকার অযুহাতে গত সাড়ে দশমাস থেকে এটি প্যাকেটবন্দি অবস্থায় পড়েছিল।

বিষয়টি নজরে এলে এটিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। কিন্তু সোমবার তিনি হাসপাতালে গেলে করোনাভাইরাস

খুব শিগগিরই মেশিনটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে দীর্ঘদিন প্যাকেটবন্দি থাকার পর অবশেষে ব্যবহারের জন্য খোলা হয়েছে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনটিকে। ঢাকা ট্রিবিউনসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত মেশিনটিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। সোমবার (১১ এপ্রিল) তিনি নিজে হাসপাতালে গিয়ে পিসিআর মেশিনটির প্যাকেট উন্মোচনের ব্যবস্থা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে দক্ষ জনবল না থাকলেও খুব শিগগিরই মেশিনটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত সাড়ে দশমাস আগে দেড়কোটি টাকা ব্যায়ে কলেজ প্রকল্পের ফান্ড থেকে এটি কেনা হয়েছিল। নতুন ভবন এবং আধুনিক ও মানমম্মত পরীক্ষাগার না থাকার অযুহাতে গত সাড়ে দশমাস থেকে এটি প্যাকেটবন্দি অবস্থায় পড়েছিল। বিষয়টি নজরে এলে এটিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। কিন্তু সোমবার তিনি হাসপাতালে গেলে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য জনবলের ঘাটতির পাশাপাশি টেস্ট কিট, রিএজেন্ট ও বিএসএল-২ মেশিনের সঙ্কটের পাশাপাশি টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকার কথা জানান শিক্ষকরা। সংসদ সদস্য তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ড. নাসিমা সুলতানাসহ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী শনিবার থেকে পিসিআর মেশিনটি চালু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজগঞ্জ-১ (সদর ও কাজিপুর) আসনের এমপি মোহাম্মদ নাসিম সোমবার ঢাকা ট্রিবিউনকে মুঠোফোনে বলেন, “এক বছর আগে পিসিআর মেশিন কিনতে অর্থ ছাড় করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি চালু করা অতিব জরুরি। আগামী সপ্তাহে আমি নিজেই সিরাজগঞ্জ এসে নিজেই এটি চালুর উদ্যোগ নেব।” কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “মেশিন চালু হলে হলেও উপযুক্ত জনবল ও প্রশিক্ষণের কোনোটিই এ মুহূর্তে নেই। টেস্টকিট, বিকারক ও নিরাপত্তা সামগ্রীও জরুরি ভিত্তিতে দরকার।” প্রকল্প পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, “সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেশিন চালুর প্রশিক্ষণ দিলেও প্রাথমিকভাবে নমুনা পরীক্ষার জন্য তারা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা কিট সরবরাহ করতে রাজি হয়নি।” সূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন