বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ১২০২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল সংখ্যা ২০ হাজার ৬৫। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯৮ জনে। [epic_element_ads google_publisher_id="pub-4446967272607184" google_slot_id="6197526271"] শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। স্বাস্থ্য বুলেটিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও রেকর্ড সংখ্যক ৯ হাজার ৫৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় একদিনে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫৮২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৬০ হাজার ৫১২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ২০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৮ জনে। [epic_element_ads google_publisher_id="pub-4446967272607184" google_slot_id="5028405446"] তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া গতকাল ভুলক্রমে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা জানানো হয়নি। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২৮২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮৮২ জন করোনা রোগী। ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। চলমান এ ছুটি আরেক দফা বাড়ি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সপ্তম দফায় ছুটি বাড়িয়ে এ আদেশ জারি করা হয়।
| গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
| শনাক্ত | ১২০২ | ২০০৬৫ |
| মৃত্যু | ১৫ | ২৯৮ |
| সুস্থ | ২৭৯ | ৩৮৮২ |
| পরীক্ষা | ৮৫৮২ | ১৬০৫১২ |