গত কয়েক দিনে যমুনার ভাঙ্গনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী, কৈজুরী ও জালালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২’শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। যমুনার কড়াল গ্রাসে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ২’শতাধিক পরিবার বাঁধের পাশে ও নদী তীরবর্তী খোলা আকাশের নীচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানায়, অসময়ে উজানের ঢলে যমুনা নদী বর্তমানে উত্তাল ও ভয়াল রূপ ধারণ করছে। ফুলে ফেঁপে ওঠা প্রগলভা যমুনার প্রবলস্রোতে গত ১ সপ্তাহে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ী, বাঐখোলা, কুঠিপাড়া, পাকুড়তলা গ্রামের প্রায় দেড়’শ ঘরবাড়ি, বিস্তৃর্ণ ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে, সোনাতনী ও কৈজুরী ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম অঞ্চল সোনাতনী, বানতিয়ার, মাকড়া ও ভাটপাড়া এলাকায় একই সময়ে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ও বিপুল পরিমান ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে সোনাতনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক। এদিকে, কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সোনাতনী ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, ‘অসময়ে যমুনার ভাঙ্গণে তাদের ইউনিয়নে ঘাটাবাড়ী, বাঐখোলা, কুঠিপাড়া, পাকুড়তলা, সোনাতনী, বানতিয়ার, মাকড়া ও ভাটপাড়া এলাকার প্রায় ২’শতাধিক মানুষ বসত ভিটা, সহায়-সম্বল সবকিছু হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়ে মানবেতন দিনযাপন করছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করতে ইউএনও’কে অবগত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, ‘ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।’