করোনায় ভালো নেই টিউশন শিক্ষার্থীরা



দুটি টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতাম। ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনা মিলিয়ে সংসারের খরচ বেড়েছে। কিন্তু হঠাৎই মাথায় বজ্রপাতের মতো করোনার ছুটি এলো। বন্ধ হয়ে গেল সব। শহরে মেসে ভাড়ায় থাকতাম। ভাইরাসের চিন্তা না, টিউশনি ছাড়া দুবেলা ভাত জুটানোই আমাদের বড় চিন্তা। করোনার সময়ে টিউশন না থাকায় এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সৈকত। ৪ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বাবা ২ বছর আগে মারা যাওয়ার পর মায়ের দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। পৈত্রিক সূত্রে ৯ শতক জমি পেয়েছেন। আর মায়ের মিলে ১৮ শতক জমি চাষাবাদ করেন। টিউশনি করে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির খরচও চালান। এখন সব বন্ধ। মাকে নিয়ে কষ্টের আছেন তিনি। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন সেটাই ভাবছেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের পড়াশুনার খরচ থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া, হাত খরচ সবই চলে টিউশনি বা খণ্ডকালীন চাকরি করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় তাদের এই উপার্জনের পথ। গত ১৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হ