রকীব আহমেদ (বিশেষ প্রতিবেদক): শাহজাদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ইউনুস আলী খান আজ ২৪ জুন সকাল ৯.৫৩ টায় এই বর্ষীয়ান চিকিৎসক ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শাহজাদপুরের বর্ষীয়ান এই চিকিৎসক গত ১০ জুন তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ঢাকার তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে তাঁকে ইমপালস হাসপাতালে আইসিইউ -তে রাখা হলেও পরবর্তীতে ভ্যান্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়। উল্লেখ্য ভ্যান্টিলেশন সাপোর্টে নেয়ার পূর্বে তাঁকে প্লাজমা থেরাপী দেয়া হয়। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন এবং ভ্যান্টিলেশন সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি আজ সকালে হার্ট এটাক করেন। আজই মরদেহ তাঁর বহু স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে নেয়া হবে, সেখানে স্থানীয় শাহজাদপুর কলেজ মাঠে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা নামাজ শেষে তাঁর ইচ্ছায় তাঁর জন্মস্থান পাবনা সদরের চরতারাপুরে (দুবুলিয়া) পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ডাঃ ইউনুস আলী খান শুধু একজন স্বনামধন্য চিকশয়নসক নয়, তিনি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের একটি বাতিঘর। কয়েক যুগ ধরে শাহজাদপুরের ধনী- গরিব নির্বিশেষে সকল মানুষের চিকিৎসা সেবায় তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। চিকিৎসা সেবায় গোটা শাহজাদপুর উপজেলার জন্য তিনি ছিলেন আইকন, বিশেষ করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাবনা -সিরাজগঞ্জ জুড়ে তাঁর খ্যাতি ছিল। তাঁর মৃত্যু শাহজাদপুরের মানুষের জন্য শোকের চাইতেও বেশি কিছু। খ্যাতনামা এই চিকিৎসক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর তিন মেয়ে, বড় ও ছোট মেয়ে স্বামী সন্তান সহ আমেরিকাতে এবং মেজ মেয়ে স্বামী সন্তান সহ কানাডাতে বসবাস করেন। করোনা মহামারীর কারণে তাঁর মেয়েরা কেউ বাবার দাফন -কাফনে দেশে আসতে পারবেন না। মেয়েরা তাদের বাবার আত্মার শান্তি চেয়ে দোয়া চেয়েছেন। শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট এলামনাই এসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন সংগঠন তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।