করোনার ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ত্রুটিপূর্ণ নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যমুনার চরাঞ্চলের মানুষ। করোনা ভাইরাসের ক্রান্তিকালে উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি খেয়াঘাট থেকে দুর্গম চরাঞ্চলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ফিটনেস বিহীন নৌকাযোগে সামাজিক দুরত্ব না মেনে ঠাঁসাঠাসি করে নিত্যদিন হাজার হাজার এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে, একদিকে যেমন সম্প্রতি যমুনা ও পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানীর মতো ট্রাজেডি ঘটার আশংকা থেকেই যাচ্ছে; অপরদিকে, করোনা ভাইরাসের ক্রান্তিকালে এভাবে ঠাঁসাঠাসি করে যাত্রী পরিবহন করায় স্বাস্থ্য ঝূঁকির আশংকাও প্রকাশ করেছে বিজ্ঞমহল । দেখার কেউ নেই। জানা গেছে, উপজেলার কৈজুরী, জামিরতা, কাশিপুর, বেনুটিয়া, জগতলা ও গালা ইউনিয়নের খেয়াঘাটসহ যমুনা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ফিটনেস বিহীন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অসংখ্য নৌকাযোগে বানতিয়ার, ছোট চামতারা, বড় চামতারা, হাতকোড়া, মুনপুর, রতনদিয়ার, বাঙালা, বৃ-দাশুরিয়া, দাশুরিয়া, ক্ষিদ্র-দাশুরিয়া, শ্রীপুর, ঠুটিয়া, মনাকষা, স্থল, ধীতপুর, মৌকুড়ি, নোহাটা, শোনতোষা, বসন্তপুর, দিঘলকান্দি, ঘাটাবাড়ী, বাঐখোলা, জালালপুর, রূপসী, ঘোরজান, কুরশী, সোনাতনীসহ যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় অসাধু মাঝি ও নৌ-মালিকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের লোভে ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী যাত্রী ও মালামাল নিয়ে ভরা যমুনার বুক দিয়ে চলাচল করছে। এসব ফিটনেস বিহীন নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী মালামাল বহন করায় একদিকে যেমন জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকরা রয়েছে, তেমনি সামাজিক দুরত্ব না মানায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহান জানান, ‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’