রূপচান্দা নেবেন? রূপচান্দা? দেখতি সুন্দর, খাতি ভালো, সস্তায় কেনেন রূপচান্দা?’ ফেরিওয়ালার এমন হাঁকডাকে রাস্তায় ছুুটে যায় ক্রেতারা। তারা মাছের চেহারা দেখে। দরদাম করে। ১৫০ টাকায় প্রতি কেজি রূপচাঁদা কিনতে পেরে খুশি হয়। কিন্তু, বাড়ি নিয়ে মাছ কাটার সময় ধরা পড়ে যে এটি রূপচাঁদা নয়, আসলে নিষিদ্ধ পিরানহা। গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা যায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক এক বিক্রেতা জানান, চিতলমারী উপজেলা সদরের মাছের আড়ত হতে এই মাছ তিনিসহ অন্য ফেরিওয়ালারা সংগ্রহ করেন। এরপর দড়িউমাজুড়ি, খাসেরহাট, শ্যামপাড়া, দুর্গাপুর, খড়মখালী, বাখেরগঞ্জ, নালুয়া, শৈলদাহ গ্রামে ঘুরে ঘুরে বেচেন। বেশির ভাগ মাছ আড়তদাররা বরিশাল থেকে আনেন বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলার মত্স্য কর্মকর্তা জিল্লুুর রহমান রিগ্যান জানান, এরই মধ্যে পিরানহা ও বিদেশি মাগুর চাষাবাদ ও কেনাবেচা না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।