গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের যমুনায় পানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে পানিবন্দীদের দুর্ভোগ। ইতিমধ্যেই প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাহজাদপুরের কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণে ও ৮’শ বছরের পুরাতন হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর মখদুমিয়া জামে মসজিদে বন্যার পানি ঢুকেছে। এদিকে, উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩ ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করলেও ত্রাণ সহযোগীতা না পৌঁছানোও তারা হতাশায় ভুগছে। জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর ও গোহালা নদীতে প্রায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমলেও এখনও পর্যন্ত যমুনার পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার্ত মানুষ জনের দুর্ভোগ-দুর্দশা বহুলাংশে বেড়েছে। ইতিমধ্যেই যমুনা তীরবতী কৈজুরী, জালালপুর, পোরজনা, গালা ও সোনাতনী ইউনিয়নের অসংখ্য বানভাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধ ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক তাঁত কারখানায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় অসংখ্য তাঁতী ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। বন্যায় দুগ্ধ সমৃদ্ধ জনপদ শাহজাদপুরে লাখ লাখ গবাদী পশু নিয়ে খামারিরা মহাবিপাকে পড়েছে। উপজেলার গ্রামীণ জনপদ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ-দুর্গতি। এছাড়া উপজেলার সিংহভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ত্রাণ সহযোগীতা না পৌঁছানোয় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে ৯’শ প্যাকেট শুকনো খাবার এসেছিলো যা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৭ টন চাউলের বরাদ্দ এসেছে যা দু’একদিনের মধ্যে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।