এক মাসের অধিক সময়ের মধ্যেই তৃতীয় দফায় একটানা চতুর্থ দিনেও যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। বইছে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ংকর ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে যমুনাপাড়ের মানুষ। শুক্রবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে সদর উপজেলার সিমলা - পাঁচ ঠাকুরী এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ, আবাদি জমি, গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহারা মানুষ সহায়, সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে যমুনানদীর পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার বন্যা কবলিত ৬টি উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার বানভাসি পানিবন্দি ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, ওষুধপাতির অভাব ও গো খাদ্যের সংকটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডক্টর ফারুক আহম্মদ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৪০০ টন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ১৪২ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুদ আছে ২৫৮ টন চাল। শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য চার লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৯৫০টি প্যাকেট। সূত্রঃ আরটিভিঅনলাইন