শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
15033266927_41ef4389ff_b এবারে কোরবানির ঈদে গরুর দাম ভালো পেলেও অনেক গরু অবিক্রীত থাকায় বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ীদের। বাজারে তোলা প্রায় ২২ হাজার হাইব্রিড জাতের গরু অবিক্রীত থাকায় তাদের ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া এ গরুগুলোর লালন-পালন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় অনেকে বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে কিংবা আরো কমে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার গোখামারি ও চাষীরা শঙ্করায়ণ (ক্রস), অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান ব্রিড, ইন্ডিয়ান হরিয়ানা ব্রিড, পাকিস্তানি সাহিয়াল ব্রিড ও দেশী জাতের গরু পালন করেন। সারা দেশে এখানকার গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এবারের কোরবানির ঈদে ক্রস হাইব্রিড জাতের গরুর দাম ও চাহিদা না থাকায় এখানকার শতাধিক গরু ব্যবসায়ী মূলধন হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, ঐতিহ্যগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুর এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার গরু কিনে বিক্রির জন্য ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পশুর হাটে নিয়ে যান। উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের কাছে এ হাইব্রিড জাতের গরুর বড় চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এবার বাজারে উল্টো দৃশ্য দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা ধরনের ক্ষতিকারক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। এসব গরুর মাংস খেয়ে মানুষ লিভার, কিডনি, ক্যান্সার, হৃদযন্ত্রসহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে— স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ এমন খবর ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে পশুর হাটে। ফলে এবার হাইব্রিড ও বড় জাতের গরু বিক্রি কম হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বড় অঙ্কের লোকসানে পড়েন। শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানি উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৯৫টি ষাঁড় নিয়েছিলাম। বিক্রি না হওয়ায় ১৯টি গরু ফেরত এনেছি। কয়েকদিন রাখার পর অর্ধেক দামে বিক্রি করেছি। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’ একই উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামের আবু হাসান বেপারি জানান, ঢাকার ফতুল্লা পশুর হাটে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের গরু নিয়ে মাত্র ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। একই উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামের বেপারি মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমি ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে ৫০টি গরু নিয়ে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে মাত্র ২৫টি গরু বিক্রি করেছি। বাকি গরু ফেরত এনেছি।’ গাড়াদহ গ্রামের শাহাদ বেপারি জানান, তিনি এবার ৬০টি গরু বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০টি গরু বাকিতে কিনেছেন। গরু বিক্রি করেছেন মাত্র ৪৫টি। তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ করে গরু কিনে বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

কবিগুরুর ছোটনদীতে ভাসবে কী আর ‘সোনার তরী’ - স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা

সম্পাদকীয়

কবিগুরুর ছোটনদীতে ভাসবে কী আর ‘সোনার তরী’ - স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) থেকে নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহানের কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার...

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

কৃষি

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতো হুবহু এই বাঁশ ফুলের চাল। ভাত, পোলাও, আটা কিংবা পায়েস সব কিছু তৈরি হচ্ছে বাঁশ ফুলের চাল থেকে।...

বগুড়ায় ৬ টাকায় এক কেজি কাঁচা মরিচ

বাংলাদেশ

বগুড়ায় ৬ টাকায় এক কেজি কাঁচা মরিচ

চাষিরা বলছেন, খেত থেকে হাটে নেওয়া পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচামরিচে গড়ে তিন টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া রয়েছে খাজনা ও অন্যান্য খরচ,...