শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
T I B শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-সংক্রান্ত এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা গণমাধ্যমের জন্য সমন্বিত নীতিমালা ও আইনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আলাদা নীতিমালা পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করবে। রোববার ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪: উদ্বেগ ও করণীয়’ শিরোনামে গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘আর্টিকেল ১৯’। আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা যখন একটি সম্প্রচার নীতিমালার কথা বলছি, তখন প্রযুক্তি আমাদের ভিন্ন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে। এই সময়ে আমরা মিডিয়া বলতে সামগ্রিকভাবে যাকে বুঝি, তার জন্য একটি নীতিমালার কথা বলছি কি না? আলাদা নীতিমালা কেন? তার মানে কাগজে কাউকে আমি গালি দিতে পারব, কিন্তু অনলাইনে পারব না? তিনি বলেন, “এ জন্যই আমাদের উচিত, একটি জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করা। সামগ্রিকভাবে মিডিয়ার জন্য একটি কমন প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, “সম্প্রচার কমিশন নয়, গণমাধ্যম কমিশন হওয়া উচিত। এটা করা হলে কমিশনের কাছে কাগজ-টিভি সবার বিষয়ে যেতে পারব। অনলাইনের আরেকটি নীতিমালার খসড়া মন্ত্রণালয়ে পড়ে থাকার কথাও তুলে ধরেন সম্প্রচার ও অনলাইন উভয় নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কমিটির এই সদস্য। মোস্তফা জব্বার আরো বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা কি আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেছি? এই আইনে কি পরিমাণ কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, সেটা সম্পর্কে কি আমরা সচেতন? তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের জন্য ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একটি নীতিমালা, একটি কমিশন, একটি আইন করা দরকার। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালাসহ আলাদা আলাদা নীতিমালা সাংঘর্ষিক হবে। অনলাইন নীতিমালার খসড়া পড়ে আছে। আরো দুটি ড্রাফট পড়ে আছে। একটি হলো ১৯৭৪-এর নিউজ পেপার সার্ভিসেস অ্যাক্ট, যেটাতে কেবল সংবাদপত্রের কর্মচারীদের বিষয় ছিল। সেখানে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ঢুকানো হয়েছে। মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল “আপনারা বলছেন, সম্প্রচার কমিশনে কমপ্লেইন করবেন। তথ্য মন্ত্রণালয় কিন্তু আবার প্রেস কাউন্সিলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অভিযোগ নেয়ার জন্য আরেকটা খসড়া নিয়ে বসে আছে। কাজেই কোনটার সঙ্গে কোনটা মিলবে। একটি গণমাধ্যম নীতিমালা হলে সেটাই হওয়া উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান একটি সমন্বিত নীতিমালা করা দরকার বলে মত দেন। তিনি বলেন, আলাদা আলাদা নীতিমালা ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে আসে। পরিকল্পনা সমন্বিত জায়গা থেকে করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে করতে হবে। চাপিয়ে দেয়া নীতিমালা চলতে পারে না। আর্টিকেল ১৯-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমানের সঞ্চালনায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কামরুল আহসান মঞ্জু, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আলোচনায় অংশ নেন।         শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম/পিএনএস/২৪.০৮.২০১৪

সম্পর্কিত সংবাদ

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

কৃষি

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতো হুবহু এই বাঁশ ফুলের চাল। ভাত, পোলাও, আটা কিংবা পায়েস সব কিছু তৈরি হচ্ছে বাঁশ ফুলের চাল থেকে।...

বসন্তের আগমনী বার্তা পরিবর্তনের আভাস

জাতীয়

বসন্তের আগমনী বার্তা পরিবর্তনের আভাস

“হে কবি , নিরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?” সত্যিই ফুঠে উঠেছে আজ কবি সুফিয়া কামালের...

শাহজাদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্ণীতি বিরোধী দিবস পালিত

শাহজাদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্ণীতি বিরোধী দিবস পালিত

সাপের পেটে ৩ ঘণ্টার ভ্রমণ!
সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে শাহজাদপুরও হতে পারে পর্যটন শহর