মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জহুরুল ইসলাম ৫ মাস ধরে রহস্য জনক ভাবে নিখোজ রয়েছেন। ফলে তার পরিবারের সবার মাঝে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। তার পরিবার থেকে অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন হদিস পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী ঠুটিয়া কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শাহানা সুলতানা সীমা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ব্যবসার পাওনা টাকা আনার কথা বলে ২ দিনের জন্য রাঙামাটিতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সীমা আরো জানান, প্রথম দিকে ১৫/২০দিন পরপর মোবাইল ফোনে তার সাথে কথাহোত, সে সময় তিনি নানা তালবাহানার কথা বলে ফোন কেটে দিত। গত আড়াই মাস ধরে তার সাথে আর কথা হয়না।তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সাথে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ব্যবসা করে অনেক ঋণ হয়ে পড়ায় গাঁ ঢাকা দিয়েছে, এমনটি ধারণা করে তেমন গুরুত্ব দিয়ে খোজা হয়নি। দীর্ঘ দিনেও সে আর ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওর প্রতি ত্যাক্তবিরক্ত হয়েই আর খোজ করা হয়নি। তার ধারনা ছিল কিছুদিন গেলে সে আবার ফিরে আসবে তাই এ ব্যাপারে থানায়ও কোন জিডি করা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সে ফিরে না আসায় তারা খুবই দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। তিনি আরো জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। এ ব্যাপারে জামিরতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দার আলী জানান, সে বহু লোকের কাছে ঋণী পাওনাদাররা প্রায়ই কলেজ ঘেটে এসে ভীড় করে। তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে সে আত্মগোপনে রয়েছে, প্রথম দিকে এমন ধারনাই করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন দরে কলেজে অনুপস্থিত থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তার কলেজে অনুপস্থিত ও নিখোজের বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল দপ্তরে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম জানান, প্রভাষক জহুরুল ইসলাম নিখোজের বিষয়টি তাদের জানানেই। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। তাই এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কোন প্রশ্নই আসেনা। এমন কিছু হলে আমি অবশ্যই জানতাম। খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রভাষক জহুরুল ইসলাম ১৯৯০ সালে কৈজুরী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও ১৯৯২ সালে আলিম পাশ করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করেন। এরপর ২০০২ সালের ৩০ জানুয়ারী জামিরতা ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তার পৈত্তিক বাড়ি ছিল, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিযনের মোনাকষা গ্রামে। যমুনা নদীতে বাড়িঘর বিলিন হয়ে গেলে তারা স্ব-পরিবারে এসে পোরজনা ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলহাজ¦ রুহুল আমিন বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

বগুড়ায় ৬ টাকায় এক কেজি কাঁচা মরিচ

বাংলাদেশ

বগুড়ায় ৬ টাকায় এক কেজি কাঁচা মরিচ

চাষিরা বলছেন, খেত থেকে হাটে নেওয়া পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচামরিচে গড়ে তিন টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া রয়েছে খাজনা ও অন্যান্য খরচ,...

হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে করোনা রোগী

বাংলাদেশ

হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে করোনা রোগী

কুমিল্লার লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসলেশনে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক রোগী গোপনে পালিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার অভ...

সাংবাদিক শামছুর রহমান শিশিরের নানীর ইন্তেকাল

সাংবাদিক শামছুর রহমান শিশিরের নানীর ইন্তেকাল

আমরা অত্যন্ত গভীর শোকাহত অবস্থায় জানাচ্ছি ‍যে, সাংবাদিক মো. শামসুর রহমান শিশির এর নানী ও মরহুম কুতুব উদ্দিন মোল্লার স্ত্...