স্টাফ রিপোর্টারঃ দ্রুত বন্যার পানি কমতে থাকায় শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ১ সপ্তাহের ভাঙ্গনে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাচিল ও জালালপুর ইউনিয়নের ভেকা গ্রামের ২শতাধিক ঘরবাড়ি ও ৫শ’ হেক্টর আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ভেকা গ্রাম সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ গ্রামের রওশন আলী প্রামানিক, নান্নু মিয়া, ময়দান প্রামানিক, আব্দুস ছালাম, আক্কাছ আলী জানান, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড় ঘেষে পানিতে ব্যাপক ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে যমুনা নদী তীরবর্তী এ দুটি গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এতে ২ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে এবং মানবতার জীবন-যাপন করছে। এ পর্যন্ত প্রশাসন থেকে তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। ভাঙ্গনে তান্ডবে এ দুটি গ্রামের স্বচ্ছল পরিবারগুলোও সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিনহীন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের মাথা গোজার ঠাই পর্যন্ত নেই। ফলে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে গত ১০ বছরে জালালপুর ইউনিয়নের ২টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ রুপে বিলিন হয়ে গেছে। এর পরেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। গত বছর সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩ দফায় মাপ জরিপ নেয়। এরপর ভাঙ্গন রোধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনও তাদের দেখা মেলেনি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হলে ভেকা ও হাটপাচিল গ্রাম দুটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। তা না হলে এ গ্রাম দুটিও যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এ ব্যাপরে শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে তার ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের উথুলি, বাঐখোলা, পাকুলতলা, রোঘুনাথপুর, দাদপুর, রায় ধূলিয়াবাড়ি গ্রাম সম্পূর্ণরুপে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া ভেকা ও হাটপাচিল গ্রাম দুটির প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধ করা না হলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাকি অংশও বিলিন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিক চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে তারা এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ভেকা ও হাটপাচিল গ্রাম দু’টি যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ বলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি খুব শিঘ্রই তারা ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সম্পর্কিত সংবাদ
জানা-অজানা
ওসি কিবরিয়ার মহানুভবতায় ধর্ষিত প্রতিবন্ধী পেলো সুখের সংসার
শামছুর রহমান শিশির,বিশেষ প্রতিবেদক : পুলিশ সম্পর্কে জনসাধারণের গতানুগতিক মনোভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক! পুলিশ মানে...
শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী, পরিবেশ ও ফেসবুক বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ গতকাল বিকালে শাহজাদপুর উপজেলা বেলতৈল ইউনিয়নের আগনুকালী সরকারি প্রাথ...
মিল্কভিটার এমডির অপসারনের দাবীতে বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানায় মিছিল ও সমাবেশ
শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা) শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী...
দিনের বিশেষ নিউজ
শাহজাদপুরে কবরস্থান থেকে ১৬ কঙ্কাল চুরি!
শাহজাদপুরে রাতের আঁধারে কবরস্থান থেকে ১৬ মানবকঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অমাবস্যার রাত...
উপজেলা নির্বাচন
কৈজুরীতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, এক কেন্দ্র স্থগিত
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচন চলাকালে পাথালিয়াপাড়া সরকারী প...
