মো:মামুন বিশ্বাস,শাহজাদপুর: শাহজাদপুর আগনুকালী পাখির অভ্যায়শ্রমে এসেছিলাম পাখির সন্ধানে । সাত আট টা পেঁচার একটি ঝাঁক দেখা পেলাম । কিন্তু ভালো ছবি তোলার দূরত্বে যেতে পারছিলাম না। কয়েকটি গাছে অবস্থান নিলাম তবু ভাল ছবি তুলতে পারছিলাম না । অতঃপর একটি গাছের আড়াল থেকে থেকে বেশ কিছু পেঁচার ছবি তুললাম। পঁচা আমাদের দেশের একটি অতিপরিচিত পাখির নাম। পেঁচা চেনে না, এমন মানুষের সংখ্যা কম। দেশের সব অঞ্চলে কম-বেশি পেঁচার দেখা মেলে। পেঁচাকে কুসংস্কারবশত অনেকে অশুভ পাখি মনে করে থাকেন। বস্তুুত এটি একটি উপকারী পাখি। পরিবেশের ভারসাম্য রায় পেঁচার ভূমিকা অনেক। এদের দিনের আলোতে খুব বেশি একটা দেখা যায় না। বেশির ভাগক্ষেত্রে উঁচু মগডালে বা ঘনপাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে। নিশাচর পাখি হওয়ায় শিকারের জন্য রাতের বেলায় ঘুরে বেড়ায় স্বাধীনভাবে। পৃথিবীতে প্রায় ১৭০ প্রজাতির পেঁচা রয়েছে।
আমাদের দেশে কয়েক প্রজাতির পেঁচা চোখে পড়ে। এদের মধ্যে হুতুমপেঁচা, লক্ষ্মীপেঁচা, নিমপোখ পেঁচা, ভুতুমপেঁচা ইত্যাদি। পেঁচা নির্জন স্থানে থাকতে পছন্দ করে। লক্ষ্মীপেঁচা ছাড়া অন্য প্রজাতির পেঁচা লোকারণ্যে দেখা যায় না। কৃষিপ্রধান এলাকায় বসবাস করে থাকে লক্ষ্মীপেঁচা। এরা বিভিন্ন প্রাণীর শিকার হয়ে থাকে। হুতুমপেঁচা ও ভুতুমপেঁচা দেখতে প্রায় একই রকম। শুধু গায়ের রঙের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
পেঁচার প্রজনন সময় এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। একটি স্ত্রী পেঁচা দুই থেকে পাঁচটি ডিম দেয়। আর ১২ থেকে ১৪ দিন ডিমে তা দেয়ার পর বাচ্চা ফোটে। এরা মরা বাঁশ বা গাছের মাথায় বসতে পছন্দ করে। আর দিনের বেলা এরা গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। এরা মানুষের কোনো তি করে না; বরং ফসল বিনষ্টকারী প্রাণী ইঁদুরসহ অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে। এ ছাড়া সাপ, ব্যাঙ ও কীটপতঙ্গ শিকার করে। পেঁচার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি খুবই প্রখর। শত্রুর আক্রমণের আগেই এরা টের পেয়ে যায়। আর মানুষের দৃষ্টিশক্তির চেয়ে এদের দৃষ্টিশক্তি অনেক বেশি। পূর্ণচন্দ্রলোকে মানুষ যেমন দেখতে পায়, তদ্রুপ পেঁচা রাতের আঁধারে সেইরূপ দেখতে পায়। পেঁচার চোখ অন্যান্য পাখির মতো মাথার পাশে বসানো থাকে না, এদের চোখ অনেকটা মানুষের মতো সামনের দিকে। নিমখোর পেঁচা দেখতে একটু লম্বাটে। এরা নিমের গাছের গোটা খেয়ে থাকে সাধারণত। রাতের বেলা এরা নিম নিম করে ডাকলে অনেকে ভয়ে আঁতকে ওঠেন। নিমখোর প্যাঁচার ডাকাডাকি নাকি মানুষের মৃত্যু ডেকে আনে। অনেকে আবার বিশ্বাস করে থাকেন, মানুষের মৃত্যুর খবর আগাম জানিয়ে দেয় এই নিমখোর প্যাঁচা। গরমকালে রাতের বেলা এদের দেখা মেলে। বছরের অন্য সময় এরা গা-ঢাকা দিয়ে থাকে।
ছোখ-বড় পেঁচা দিনের আলো সইতে পারে না। রাতের পাখি বলে পেঁচার খেতাব রয়েছে এদের। এরা দিনের বেলা অনেক সময় কাক ও চিলের শিকার হয়ে থাকে। আগের তুলনায় আমাদের দেশের পেঁচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। খাদ্যসঙ্কটের পাশাপাশি নানা প্রতিকূলতায় দিন দিন আমাদের দেশ থেকে পেঁচা হারিয়ে যাচ্ছে। জানা-অজানা কারণে আমাদের দেশে পেঁচার সংখ্যা কমছে। এদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই দায়িত্ব।
সম্পর্কিত সংবাদ
রাজনীতি
শাহজাদপুরের সাবেক এমপি কবিতা ও চয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই বছর পর বৃহস্পতিব...
খেলাধুলা
মেসি জাদু, আলভারেসের জোড়া গোল; ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ছুটছেই। শুরুতেই হারের পর যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দমানোর সাহস হয়নি কারও।
আন্তর্জাতিক
শাহজাদপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা
শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্...
আইন-আদালত
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত, নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর বাধা নেই
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা...
শিক্ষাঙ্গন
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ'র কেন্দ্রে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি প...
বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ ঘিরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল জেলা...
