বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
আল-আমিন: সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের চরভাটবেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল দশা বিগত কয়েক বছর ধরে। বর্ষাকালের শুরু থেকেই টানা চার মাস ধরে চরভাটবেরা গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকা। বাড়িসহ চারপাশ পানিতে ভরপুর, স্কুলও থাকে প্লাবিত। কিন্তু চার মাস স্কুল বন্ধ রাখা সম্ভব না তাই শিশুরা এ সময়টাতে দলবেঁধে নৌকায় করে স্কুলে যাওয়া-আসা করে। একইভাবে যাতায়াত করেন শিক্ষকরাও। নদীতে পূর্ণ জোয়ার থাকায় বর্ষার পানি নামতে না পেরে আটকে থাকায় মে শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এভাবেই চলে স্কুলে যাতায়াত। ফলে প্রতিবছরই বর্ষাকাল শুরুর সাথে সাথে এখানকার আশপাশের কয়েকটি স্কুলের গ্রামের কয়েকশত বাবা-মায়ের উৎকণ্ঠার শুরু হয়। এ উৎকণ্ঠা থাকে পুরো বর্ষা মৌসুম। গ্রামের শিশুরা এভাবেই গত ১২ বছর ধরে বছরের চার মাস নৌকায় করে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি এক যুগেও। ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার বিলাঞ্চল দূর্গানগর ইউনিয়নের রাউতান, নুন্দীবেরা, চরভাটবের, ভাটবেরা গ্রামের মানুষ বর্ষা মৌসুমে চার় মাস আবদ্ধ অবস্থায় বসবাস করেন। ফলে পানিবন্দি এ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের শিশুরা গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ৩০ নাং চরভাটবেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে নৌকায়। স্কুলে পাঠদান গ্রহণের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকা চালিয়ে আসে কোমলমতি এসব শিশু। তবে স্কুলের কাছাকাছি থাকা অনেকেই হাঁটু বা কোমর পানি ভেঙে আসে স্কুলে। যাতায়াত কষ্টের কোনো প্রভাব নেই পানিবন্দি এ স্কুলের শিশুদের মধ্যে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতকরা ৯০ শতাংশ। তেমনি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাতেও শতভাগ পাশের অনন্য ধারা রক্ষা করে চলছে স্কুলটি। সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল শুরু সময়ের আগেই ছোট ছোট নৌকায় করে এসে হাজির শিশুরা। পায়ে হেঁটে আসার পথ নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে এলেও তাদের মধ্যে হৈ-হুল্লোড় আর হাসি ঠাট্টার কোনো কমতি ছিল না। তবে স্কুলভবনটি ছাড়া আশপাশের মাঠঘাট, স্কুলের টয়লেট, টিউবয়েল সব তলিয়ে গেছে। স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, বৃষ্টি হলে স্কুল ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। খসে পড়ে ভবনের পলেস্তার ও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল । এ সময় জীবনের ঝুকি নিয়েও ক্লাস করে এবং ভোগান্তির শেষ থাকে না ছাত্র ছাত্রীদের । স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক ইউসুফ হোসেন জানালেন, স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চরভাটবেরা গ্রামের। চলতি বছর স্কুলে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় স্কুল চালু রাখায় শিশুদের পাশাপাশি তারাও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এবং বিকল্প ভাবে ক্লাস নিচ্ছেন রাস্তার উপরে এবং মসজিদের ভিতরে । অত্র এলাকার সাংবাদিক আল-আমিন সাথে কথা হলে তিনি জানান, জরাজীর্ণ ভবনটি বাদে স্কুলের মাঠের জায়গা উঁচু করে নতুন ভবন করা হলে এ সমস্যা থাকবে না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম জে মাহমুদ ইজদানী মুঠোফনে এই প্রতিবেদকে বলেন স্কুল মাঠ উঁচু করে ভবন নির্মাণের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

ওসি কিবরিয়ার মহানুভবতায় ধর্ষিত প্রতিবন্ধী পেলো সুখের সংসার

জানা-অজানা

ওসি কিবরিয়ার মহানুভবতায় ধর্ষিত প্রতিবন্ধী পেলো সুখের সংসার

শামছুর রহমান শিশির,বিশেষ প্রতিবেদক : পুলিশ সম্পর্কে জনসাধারণের গতানুগতিক মনোভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক! পুলিশ মানে...

শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী, পরিবেশ ও ফেসবুক বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী, পরিবেশ ও ফেসবুক বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ গতকাল বিকালে শাহজাদপুর উপজেলা বেলতৈল ইউনিয়নের আগনুকালী সরকারি প্রাথ...

মিল্কভিটার এমডির অপসারনের দাবীতে বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানায় মিছিল ও সমাবেশ

মিল্কভিটার এমডির অপসারনের দাবীতে বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানায় মিছিল ও সমাবেশ

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা) শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী...

শাহজাদপুরে কবরস্থান থেকে ১৬ কঙ্কাল চুরি!

দিনের বিশেষ নিউজ

শাহজাদপুরে কবরস্থান থেকে ১৬ কঙ্কাল চুরি!

শাহজাদপুরে রাতের আঁধারে কবরস্থান থেকে ১৬ মানবকঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অমাবস্যার রাত...

কৈজুরীতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, এক কেন্দ্র স্থগিত

উপজেলা নির্বাচন

কৈজুরীতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, এক কেন্দ্র স্থগিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচন চলাকালে পাথালিয়াপাড়া সরকারী প...

বিষ্ময়কর এক ফল 'চালতা'

দিনের বিশেষ নিউজ

বিষ্ময়কর এক ফল 'চালতা'

আবহমান গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় এক ফলের নাম চালতা! চালতা একটি বিষ্ময়কর ফল, যা তার অনন্য পুষ্টিগুণ এবং ঔষুধি গুণের জন্য