বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক নায়করাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ আগস্ট তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

খ্যাতিমান এ অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। সে সব আয়োজনে দেখানো হবে নায়করাজের সিনেমাগুলোর বিভিন্ন মুহূর্ত এবং গান। এছাড়া একসঙ্গে কাজ করেছেন এমন কয়েকজন অভিনয়শিল্পী রাজ্জাকের সঙ্গে তাদের কাজের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন। পাশাপাশি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হবে রাজ্জাক অভিনীত কয়েকটি সিনেমাও।

নায়করাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসিতে) রয়েছে বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন। প্রতি বছরই এই আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। নায়ক রাজ্জাক এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি ছিলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে নায়করাজ উপাধি লাভ করেছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে। ১৯৬৪ সালে তিনি পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন।

রাজ্জাক প্রথমে চলচ্চিত্রকার আবদুল জব্বার খানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। নায়ক হিসেবে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। সেই থেকে শুরু। একবারের জন্যও পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রয়াত এ কিংবদন্তিকে। ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেছেন। এছাড়া প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ১৬টি চলচ্চিত্র।

এপার বাংলাতেই নয়, ওপার বাংলায়ও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। পাঁচ বছর অভিনয় করেন কলকাতার ৩০টির বেশি সিনেমায়। ওপার বাংলায় জন্ম নিলেও এপার বাংলার রুপালি রঙেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন নায়করাজ।

রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে- বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতুটুকু আশা, নীল আকাশের নিচে, জীবন থেকে নেয়া, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, গুন্ডা, অনন্ত প্রেম, অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, মহানগর, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, স্বরলিপি, বাদী থেকে বেগম, বাবা কেন চাকর ইত্যাদি।

সাতটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে তাকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে রেকর্ড সাত বার।

সম্পর্কিত সংবাদ

মিষ্টান্ননগরী  সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর

শাহজাদপুর

মিষ্টান্ননগরী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ছোট-বড় অনেক জমিদার ছিল। বিভিন্ন উৎসব-পূজা-পার্বণে তারা প্রজাদের নিমন্ত্রণ করে পেটপুরে মিষ্টি খাওয়াতেন। তারা ব...

শাহজাদপুরে দুস্থের মাঝে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে দুস্থের মাঝে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম মন্ডলের নিজস্ব অর্থায়নে দুস্থ ও হতদ...

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ!

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ!

এম এ হান্নান শেখঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পূর্ব পাশে অবস্থিত পিডিবির ৩টি ও বেসরকারি ১টি মিলে মো...