১৯৭১ সালে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দল আওয়ামীলীগের অনুপিস্থিতিতে সে সময় কালেও ভুট্টোসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কুত্তা কামড়া কামড়ি শুরু করেছিল।
অপরদিকে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। সেখানেও অনুরূপ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছিল। শুরু হয় আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।
তখন আয়ামীলীগ ও যুব নেতৃত্বের ক্ষুদ্র একটি অংশ দাবী তোলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে তারাই একমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের উত্তরাধিকারী। শুরু হয় তাজউদ্দিন বিরোধী প্রচারণা।
এক পর্যায়ে তাঁকে হত্যা করার জন্য এক সশস্ত্র যুবককে পাঠানো হয়। সে আত্মসমর্পণ করে। তাজউদ্দিন আহমেদ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ট নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে, ভারত সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায়, ভারত সেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর যৌথ বাহনী গঠন করার মাঝ দিয়ে মিত্রবাহিনীর সাথে সম্মিলিত ভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর স্থল পথে আকাশ পথে উপর্যুপরি আক্রমণের ফলে বিশ্বশক্তিগুলোর পদক্ষেপের সুযোগ নেয়ার আগেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন দেশে আওয়ামীলের সেই অভ্যন্তরীণ কলহগুলো দানা বাঁধতে থাকে।
বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ পর তাজউদ্দিন বিরোধী গ্রুপটির তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। বঙ্গবন্ধু নিজেও একপেশে হয়ে যান। এই দ্বন্দ্ব ও রাজনীতিতে নানা অন্ত বিরোধের সুযোগে রও এবং সিআইএ (RAW-CIA) এর অন্ধকারে তাদের গুটি চালবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ঘটে যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের ভয়াবহ নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ড।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকরা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে। আওয়ামীলীগ রাজনীতির মূল মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়। রাখা হয় ছায়া আর কায়া।
এখন চলছে ছায়া আর কায়ার রাজনীতি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গেছে। কিন্তু থেমে নেই লুটের মালের ভাগের হিস্যা পেতে ক্ষমতার কামড়া কামড়ি। মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁটা বাঁশের চিপায়।
আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেইনা। প্রয়োজনও মনে করিনা। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কি? আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁটা বাঁশের চিপায়। প্রজন্মও অন্ধ চোরাগলিতে পথ হাটছে। এসো শোকের মাসে পেছনের ইতিহাসকে স্মরণ করি। শতর্ক হই। শত্রু কিন্তু আমাদের মাঝেই অবস্থান করছে। জয়বাংলা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক প্রধান সম্পাদক শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম
সম্পর্কিত সংবাদ
অপরাধ
উল্লাপাড়ায় ষাঁড়ের শিংয়ের আঘাতে গৃহবধুর মৃত্যু
তানিম তূর্যঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ষাঁড়ের শিংয়ের আঘাতে খুশি বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধুরর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিক...
দিনের বিশেষ নিউজ
শাহজাদপুরে পৌরসভা ও অগ্নিবীণা সংসদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আজ শুক্রবার শাহজাদপুর পৌরসভা ও ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সংগঠন অগ্নিবীণা সংসদের উদ্যোগে ইফত...
উল্লাপাড়া
উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার
তানিম তূর্যঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর পুকুর থেকে ইয়াম ইসলাম( ৮) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে...
খেলাধুলা
উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
তানিম তূর্যঃ সোমবার উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০১৭ স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হ...
অর্থ-বাণিজ্য
উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর উপজেলা সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির নব-নির্বাচিত ক...
সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ
তাঁতের দেশে বেহাল দশা- সিরাজগঞ্জ জেলা তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হলেও জনজীবনে দুর্ভোগ
ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। গ্রামের মাঝপথ। চায়ের দোকানকে ঘিরে মানুষের জটলা। তাতে মানুষের মুক্ত আলোচনা। সে আলোচনায় নানা প্রসঙ...