বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

 প্রেম-ভালবাসা আসলেই এক অনন্ত শক্তির নাম। এই ভালবাসাকে স্বীকৃতি দিতে, সবার উর্ধে তুলে ধরতে বিশ্বজুড়ে এখন পালিত হয় ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’। যে কারণেই এই দিবস পালনের সংস্কৃতি চালু হোক না কেন, দিবসটি এখন শুধু ওই কারণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে নানা মাত্রায়। পাশ্চাত্য-উদ্ভাবিত এই দিবসের অভিঘাত গত এক দশক ধরে আমাদের দেশে বেশ জোরেশোরেই পড়ছে। তবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দিবসটির প্রভাব এখনও মধ্যবিত্ত তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শুধু মধ্যবিত্ত বললে ভুল হবে, বলতে হবে নাগরিক মধ্যবিত্ত। কারণ গ্রামীণ মধ্যবিত্ত তরুণ-তরুণীদের কাছে দিবসটির বিশেষ কোন তাৎপর্য এখনও পর্যন্ত নেই। সামাজিক নানা বিধি-নিষেধের কারণে দিবসটির তাৎপর্য তাদের কাছে এখনও ঠিক সেভাবে পৌঁছেনি।কিন্তু গ্রাম ক্রমেই নগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে কিংবা নগর গ্রামের দিকে। এ কারনেই ভালোবাসা দিবস আজ সার্বজনীন।ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এই উৎসবের সূত্রপাত। খ্রিস্টান একজন পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিবসটির নামকরণ 'ভ্যালেনটাইন্স ডে' করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সৈন্যদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন  'ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন'। অপর বিশ্বাসমতে, প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত 'জুনো' উৎসব। রোমান পুরাণের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এই দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের পার্টনারকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন 'জুনো' উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি 'ভ্যালেনটাইনস ডে' হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু। শহর ও নগরের সামাজিক, কর্মজীবন সবখানেই কাজ, মানসিক চাপ, মানুষের ব্যস্ততা ব্যাপক। নাগরিক জীবনের হাঁপিয়ে ওঠার দিনগুলোকে পেছনে ফেলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সমমর্মিতা আনতে এ দিনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি বছর ভালোবাসা দিবস আমাদের সামনে সেই বাণী নিয়েই আসে।

সম্পর্কিত সংবাদ

সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত

রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন...

কাল তৃতীয় বৈঠকে বসছে মস্কো-কিয়েভ

আন্তর্জাতিক

কাল তৃতীয় বৈঠকে বসছে মস্কো-কিয়েভ

রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার (৭ মার্চ) তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। ইউক্রেনে রক্তাক্ত সংঘর্ষ অবসানের লক্ষ্যে...

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

আইন-আদালত

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...

শাহজাদপুরে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় করলেন চয়ন ইসলাম

রাজনীতি

শাহজাদপুরে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় করলেন চয়ন ইসলাম

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ডায়া ও বেড়াকুচাটিয়া গ্রামবাসীর উদ্যেগে ডায়া বাজারে আওয়ামী...

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

শাহজাদপুর  প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...

সব কাপুরুষের দল

সম্পাদকীয়

সব কাপুরুষের দল

মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন দেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা কি পেলাম? কিছুই পাইনি। চোর, ডাকাত, লুটেরা পেয়েছি। ব...