বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ বাঘের রোগ থেকে দূরে থাকার উপায় এটি মানুষ প্রতিনিয়ত রোগ-জীবানুর সাথে যুদ্ধ করে আসছে। কখনও ব্যাটেরিয়া ধংস করতে ব্যবহার করছে অ্যান্টিবায়োটিক মিসাইল। আবার কখনও ভ্যাকসিনের আকারের গ্রেনেড ছুঁড়ছে ভাইরাসকে লক্ষ্য করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয় না। আঙ্গুলের ফাঁকে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। তখন অ্যান্টিব্যাটেরিয়াল সোপ অথবা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করে জীবানু বিনাশ করি। জীবানু ধংস করতে আমাদেরই যদি ঘাম ছুটে যায় তাহলে প্রাণীদের অবস্থা কী হয় ভেবে দেখুন তো?কারনিভোরাস ডেভিল নামক মাংসাশী প্রাণীটি একটি ফেসিয়াল টিউমার রোগে ভুগে। এটি এক ধরণের ক্যান্সার। বাড়ির পাশের ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ ডাকা ব্যাঙটিও রোগ-জীবানুর হাত থেকে রক্ষা পায় না।

15-1

এরা কাইট্রিডিমাইকোসিস নামে একটি রোগে আক্রান্ত হয়। বাট্রাকোকাইট্রিয়াম ডেনড্রোবাটিডাস নামক একটি মারাত্মক ছত্রাকের সংক্রমণে এ রোগ হয়। পৃথিবীতে এক তৃতীয়াংশ ব্যাঙ মারা যায় এ রোগে। ৯০ শতাংশ তৃণভোজী কোয়ালাস মারা যায় কামাইডিয়া নামক রোগে। কামাইডিয়া ট্রাকোমাইটিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। সম্প্রতি মরণঘাতি ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু মানুষ নয় শিম্পাঞ্জি-গরিলাও এ রোগে আক্রান্ত হয়। মানুষের মতো এ প্রাণী দুটির নিউমোনিয়াও হয়। তাহলে বুঝুন, রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে সব প্রাণীই তো মারা যেতো।

15-2

তাহলে নিশ্চয়ই প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ করার ভিন্ন কিছু উপায় আছে। চলুন এবার সেগুলো জেনে নেই। যখন পিঁপড়াদের কোনো সদস্য মারা যায় তখন অন্য পিঁপড়েরা দ্রুত মৃতকে কলোনি থেকে বের করে আনে। কারণ তারা জানে না মৃত পিঁপড়ার শরীরে কোন জীবানু বাসা বেঁধেছে। হতে পারে মৃত পিঁপড়ার শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক থেকে থাকে তাহলে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। এই ভয়ে মৃত পিঁপড়াকে ঘর থেকে দ্রুত বিদায় করে তারা। তবে এর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। সামুদ্রিক মাছ স্যালমন। এর ছোট সদস্যটি কখনও রোগাক্রান্ত হলে তার সেবা করার জন্য এগিয়ে আসে এক পাল সঙ্গী। কারণ ছোট্ট স্যালমনটি অতটা শক্তিশালী নয়। সামুদ্রিক এ মাছ কোনো কারণে আঘাত পেলে কোপিপড নামক একটি জীবানু আক্রান্ত স্থানে বাসা বাঁধে। ২০০৭ সালে ইনফেকসিয়াস স্যালমন এনিমিয়া নামে একটি রোগ সমুদ্রে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যে জীবানুটি এ রোগের জন্য দায়ী কিছু ছোট মাছ আবার তাদের শিকার করে। অর্থাৎ ছোট মাছগুলোর খাবার হলো ওই জীবানুগুলো। যাদের অ্যাকুরিয়াম আছে তাদের প্রায় সবারই জানা কর্কউইং রাস্সি, ব্যালন রাস্সি, কাককু রাস্সি, গোল্ডসাইনি নামক মাছগুলো ‘ফিস কিনার’ হিসেবে কাজ করে। একইভাবে সমুদ্রেও মাছগুলো এ কাজ করে থাকে। তারা স্যালমন মাছের শরীর থেকে জীবানুগুলো খেয়ে তাদের সুস্থ করে তোলে। কাজটি অবশ্য তারা না জেনেই করে থাকে।

15-3

প্রাণীদের অদ্ভুদ আচরণ অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না। পারার কথাও নয়। এই যেমন বাঘের কথাই ধরি। বাঘ জিব দিয়ে শরীর চাটে। কেন এমনটা করে থাকে? রোগ-জীবানুকে দূরে রাখতেই এমনটা করে এরা। বাঘের পশমে কোনো জীবানু থাকলে এই উপায়ে তা পড়ে যাবে। সব সময় যে তা হবে এমনটা নয়। তবে প্রাথমিকভাবে এমনটি করে থাকে এরা। পিঁপড়া, স্যালমন ও বাঘের মতো অন্য প্রাণীগুলোও বিভিন্ন ভাবে নিজেদের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে- এ কথা হয়ত আর কারো বুঝতে বাকি নেই। সূত্র : বিবিসি।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে বেদেপল্লিতে মেরিনা জাহানের খাদ্য সামগ্রী  

রাজনীতি

শাহজাদপুরে বেদেপল্লিতে মেরিনা জাহানের খাদ্য সামগ্রী  

করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভাসমান বেদে সম্প্রদায়। সোমবার রাতে শাহজাদপুরে পোতাজিয়া ইউপির গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে...

শাহজাদপুরে যমুনার চরে গমের বাম্পার ফলন

শাহজাদপুরে যমুনার চরে গমের বাম্পার ফলন

শাহজাদপুরে অপরিকল্পিতভাবে পাশাপাশি দুইটি সেতু নির্মাণে সরকারের বিপুল অর্থ অপচয়

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে অপরিকল্পিতভাবে পাশাপাশি দুইটি সেতু নির্মাণে সরকারের বিপুল অর্থ অপচয়

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হলদার পাড়া থেকে ছোটমহারাজপুর পর্যন্ত মাত্র ১৫০ মিটার সংযোগ সড়কে পূর্বের এক...

শাহজাদপুরে শিশুশ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

আইন-অপরাধ

শাহজাদপুরে শিশুশ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পরিত্যাক্ত বাড়িতে জামরুল কুড়াতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্র মামার ধূমপান করা দেখে ফেলায় শিশুশ্রেণি

ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দিতে না পেরে মালপত্র রেখে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন

জাতীয়

ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দিতে না পেরে মালপত্র রেখে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন

কভিড-১৯ এর প্রভাবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণসহ সব খাত স্থবির হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন রাজধানীর লাখ...