

আবুল বাশার, সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডট কম :: ভাষা-মতিন। তিনি এমন একজন, বাংলা ভাষায় এ নামে আর কেউ নেই। গত বছর ৮ অক্টোবর বুধবার আমাদের সবাইকে ব্যাকুল করে নিরঙ্কুশ বিদায় নিয়ে চলে গেছেন মহাকালে। রেখে গেছেন আমরি বাংলা ভাষা। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে মান্য করে। সারা পৃথিবীর বহু ভাষাভাষী জানে, কেন এই মাতৃভাষা দিবস। বাংলার গৌরব মহিমান্বিত হয়েছে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেদিন ভাষা আন্দোলনকারীরা শহীদ হয়েছেন, অসহনীয় নির্যাতন সইতে হয়েছে। কারাবরণ করেছেন প্রায় সবাই। সবার কথা সমানভাবে মনে রাখিনি আমরা।
আবদুল মতিন—নির্ভেজাল ও নিরহংকার এই মানুষ বায়ান্ন সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন করেছিলেন, সেটি তিনি পরবর্তী সময়ে জীবনের প্রতিটি বাঁকে শাণিত করে আমাদের জন্য উপহার দিয়ে গেছেন বাঙালির একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকলেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁর এক ভাই ও বাবাকে হত্যা করেছিল। বাম রাজনীতি করেছেন আজীবন, যুক্ত ছিলেন কৃষক-শ্রমিকদের সঙ্গে। সমকালে মওলানা ভাসানী ছিলেন তাঁর আদর্শ। গৌরবময় ইতিহাসের নায়ক কীভাবে জীবিতকালে লোকচক্ষুর আড়ালের কারাগারে দীর্ঘকাল বন্দী থেকে এবং সুযোগ্য সম্মান না পেয়ে আমাদের এই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বসবাস করে গেলেন—ভাবলে দুঃখ হয়। বিলম্বে জুটেছিল রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। বাংলা ভাষার এই দেশে যেন তিনি ছিলেন এক আগন্তুক। কোনো সরকার তাঁকে চিনতে চায়নি।
তাঁর সাথে দীর্ঘদিন মেশবার সুযোগ হয়েছে। অত্যন্ত কাছ থেকে তাঁকে দেখেছি। তাঁকে কখনো ব্যক্তিগত বিষয়-আশয় নিয়ে আক্ষেপ বা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখিনি।দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামী আবদুল মতিন দরিদ্রতা পরিহার করতে পারেননি। তাঁকে এই অভিশাপ থেকে উদ্ধার করে একটু স্বস্তি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের। কিন্তু কোনো সরকার তাঁর এই বাস্তবতাকে সমর্থন দেয়নি, করেনি যোগ্য সম্মান। মতিন সাহেব ছিলেন এমন একজন, যিনি শুধু দিয়ে গিয়েছেন, পেলেন না তেমন কিছু। আর যা দিলেন, তা হলো বাঙালির আত্মপরিচয়, বাংলা ভাষা। আমাদের সবচেয়ে বড় অহংকার। এভাবে ভাষা-মতিন আমাদের অনিবার্য নায়ক। বাংলা ভাষার মতিন, আপনাকে বাঙালি জাতি কোনো দিন ভুলে থাকতে পারবে না। বিপুল আয়োজন ও আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাংলা ভাষাকে আপনি সমৃদ্ধ করেছেন। আপনি আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত মানুষদের অন্যতম।আপনি বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙালির মানসপটে।
সম্পর্কিত সংবাদ

অপরাধ
শাহজাদপুরে সরকারি গাছ বিক্রি করে ঋণের দায় শোধ স্কুল দপ্তরির!
শাহজাদপুরে ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পাওয়ানাদারকে সরকারি ক্যানেলের ৫০টি সরকারি গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেছেন

দিনের বিশেষ নিউজ
রবীন্দ্র অনুরাগী ভক্তের মিলনকেন্দ্র কবিগুরুর কাছারিবাড়ি
সিরাজগঞ্জ জেলার দুগ্ধশিল্প ও তাঁতসমৃদ্ধ শাহজাদপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র দ্বারিয়াপুরে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ

জাতীয়
আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী
অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে এ রাত হাজার রাতের চেয়ে পুণ্যময়... মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উল্লাপাড়ায় ২২ দিন বয়সের একটি বকন বাছুর প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ দিচ্ছে। অবিশ... বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী সোনাতুনী ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চল ও ভয়াবহ বন্যা কবলিত দুর্গম চরা...
জাতীয়
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পবিত্র শবে কদর
ফটোগ্যালারী
অলৌকিক ঘটনা!!! উল্লাপাড়ায় দুধ দিচ্ছে ২২ দিনের বকন বাছুর
বন্যা
অসহায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে সার্কেল শাহজাদপুরের উদ্দ্যোগে ত্রান বিতরন