বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
শামছুর রহমান শিশির: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে দুই জোটের বড় শরীক দলগুলোর মধ্যে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’তে মনোনয়নের জন্য চলছে নতুন পুরোনোর যুদ্ধ। এ আসনে দেশের বড় দুই জোটের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ সংগঠনের তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড পর্যন্ত লবিং, তদবির ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সুযোগ পেলেই আবার ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিশেষ করে গত রমজান মাসের ইফতার মাহফিল থেকে জনগণের প্রত্যাশীত নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় যাকাতের কাপড় বিতরণ, নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদ উপঢৌকন হিসেবে পাঞ্জাবি, শাড়ী দেয়া ইত্যাদি কর্মকান্ড চালিয়েছে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। গত বন্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন বন্যাক্রান্ত হওয়ার সুবাদে সবার পক্ষ থেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে নিজেদেরকে জানান দেয়ার বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এই আসনে। এ উপজেলায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাসদ ও বাসদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কোমড় বেঁধে মাঠে নেমে কাজ করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, বাংলাদেশ মিল্কভিটা’র ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এড. শেখ মো: আব্দুল হামিদ লাভলু এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড.সাজ্জাদ হায়দার লিটন। অন্যদিকে, এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সারোয়ার, ডা: এমএ মতিনের ছেলে, চাইল্ড সাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এমএ মুহিত, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হোসাইন শহীদ মাহমুদ গ্যাদন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি কেএম তারিকুল ইসলাম আরিফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার এবং সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম ছালাম প্রত্যেকেই নিজেদেরকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জোর প্রচারণা শুরু করেছেন। এছাড়াও, মহাজোটের শরীক দল হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছে উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুজ্জামান শফি, বামমোর্চার বাসদ (খালেকুজ্জামান) নেতা ও উপজেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আনোয়োর হোসেন এবং বাসদ নেতা ও সাংবাদিক কবীর আজমল বিপুল। সিরাজগঞ্জ- ৬, (শাহজাদপুর) আসনটি ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ২০১৭ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১শ’ ৪২ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬২২ জন। আগামী ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ হারে ভোটার বাড়বে বলে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে জানা গেছে। ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ এ আসনের দিকে বিশেষভাবে তাকিয়ে আছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। আওয়ামীলীগ চায় তাদের বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আর বিএনপি চায় তাদের অতীত ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়ে এ আসনটি পুনঃরুদ্ধার করতে। তাঁত সমৃদ্ধ ও গো-সম্পদ এলাকা বলে খ্যাত শাহজাদপুর উপজেলা সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি ব্যতিক্রম ধর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। বর্তমানে এ আসনের এমপি হলেন শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প-উপমন্ত্রী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন। তিনি ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিএনপির ঘাঁটি ও দূর্গ হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুর নির্বাচনী এলাকাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জোরতৎপরতা চালাচ্ছেন। বর্তমানে শাহজাদপুরে বিএনপি’র ওই দূর্গ রাজনৈতিকভাবে ভেদ করে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। তবে সামনের নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের জন্যই হবে অস্তিত্বের লড়াই-এমনটা মনে করছেন অনেকেই। এই লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিজয় অর্জন করতে হলে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনকে দলীয় মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় অবশ্যম্ভাবী বলে তার সমর্থকেরা দাবী করেন। তার সমর্থকদের ভাষ্যমতে, ‘সাংসদ স্বপনের নির্বাচনী কৌশল ভিন্ন। ইতিমধ্যেই তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকার ভোট চাইতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল জনসভা করছেন এবং পৌর এলাকার সব কয়েকটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কর্মী সভা ও উঠোন বৈঠক করেছেন। এলাকার শান্তি, শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখার জন্য স্বপনের বিকল্প নেই। শাহজাদপুরে আওয়ামী রাজনীতি তাঁর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।’ এ বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন মনোনয়ন শতভাগ পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, ‘দলের সভাপতি ও এমপি হিসেবে শাহজাদপুরের জনসাধারণকে যেমন রেখেছি নিরাপদ, তেমনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলেছি। বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একটি পৌরসভা ও ১৩ টি ইউনিয়নে নৌকা মার্কার বিজয় প্রমাণ করে। সেই সাথে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, নদীশাষণসহ বহুমুখী উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে যা বিগত সময়ের সকল সাবেক সাংসাদের চেয়ে বেশী। যে কারণে যে কোন তদন্ত সংস্থার রিপোর্ট, তৃণমুলের সমর্থন ও সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক অগ্রভাগে রয়েছি। তার পরেও দলীয়ভাবে নৌকা প্রতীকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেনো, দলের সভাপতি হিসেবে শপথ করে বলছি, ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী সুনিশ্চিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো।’ অপরদিকে, ১৯৯৭ সালের উপ-নির্বাচনে এ দূর্গে হানা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পুনরায় ২য় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। তিনিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে জনসভা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি রুট লেবেলে তুলে ধরছেন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। দল থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হলে ৩য় বারের মতো বিপুল ভোটে তিনি এমপি নির্বাচিত হবার মাধ্যমে এ আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন তিনি। অন্যদিকে, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মিল্কভিটার ভাইস চেয়ারম্যান, আইনজীবী এ্যাডভোকেট শেখ মো: আব্দুল হামিদ লাভলু এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও এ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে এলাকায় রয়েছে তার বেশ খ্যাতি। এ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশের মাধ্যমে নৌকার ভোটব্যাংক বৃদ্ধিতে এবং বর্তমান সরকারের সাফল্য জনগণের মাঝে তুলে ধরছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বাবা আব্দুল মতিন মোহন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ বার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান, শাহজাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একটানা ৬ বার পরপর চেয়ারম্যান ছিলেন শাহজাদপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের। এ কারণে তার আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে বলেও তার সমর্থকেরা জানিয়েছেন। এদিকে, কে কোন দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন? বর্তমান সরকারের আমলে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে? কে কোন দলের সর্বাধিক যোগ্য প্রার্থী? এমন নানা প্রশ্নে এলাকার বিভিন্ন চায়ের দোকানে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়। স্থানীয় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে নামলেই পুলিশের ধাওয়া, জেল জুলুম খাটা, ট্রেন পোড়ানো মামলাসহ নানা হয়রানীমুলক মামলায় জড়ানোর ফলে এলাকায় স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেশ চাপে রয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। বিএনপি’র সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সারোয়ার একজন বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী। তার সমর্থকদের ভাষ্যমতে, ‘এই নেতার জনপ্রিয়তা বরাবরই অন্য প্রার্থীর চেয়ে অনেক আগানো। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে থেকে হঠাৎ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে এই নেতা বাঘা বাঘা দুই জন প্রার্থীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময়ের পরাজিত যে দু’জন প্রার্থী ছিলেন, তারা হলেন, দীর্ঘদিন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ডাঃ এমএ মতিন এবং আওয়ামী লীগের ড. মযহারুল ইসলাম। বিএনপি থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপি’র সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে শাহজাদপুর উপজেলার সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন খান মজলিশ সারোয়ার। স্বাধীনতার পর আর কোন এমপি সারোয়ার খান মজলিশের মতো এতো উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি। এ জন্য জনগণও তাকেই মনে রেখেছে। কারণ, তিনি প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দীর্ঘ ২২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও শাহজাদপুরে তার জনপ্রিয়তা এখনও সবার চেয়ে বেশি ও শীর্ষে। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে মঈন উদ্দিন- ফখরুদ্দিনের লুটপাটের নির্বাচনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী চয়ন ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মাত্র ২২/২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। খান মজলিশ ওই নির্বাচনে ১ লক্ষ ২২ হাজার কয়েক’শ ভোট পেয়েছিলেন।’ মঈন উদ্দিন- ফখরুদ্দিনের শাষণামলে লক্ষাধিক ভোট পাওয়া ভোটের রাজনীতিতে এবং আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশের আলাদা গুরুত্ব বহন করবে বলেও অভিজ্ঞমহল মনে করে। কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সারোয়ার জানান, ‘স্বাধীনতার পরে শাহজাদপুরের এ আসন থেকে যে কয়েকজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তার মধ্যে আমিও একজন। তবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত বিএনপি দল এবং তারই প্রধানমন্ত্রীত্বে পরিচালিত সরকারে এমপি থেকে আমি শাহজাদপুরের সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করেছি যা আপনারাও জানেন এবং শাহজাদপুরের জনগণও জানে। আগামীতে আমি আবারও বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো এবং জনগণ আমাকে আবারও ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত করবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ, স্বাধীনতার পরে এ আসন থেকে নির্বাচিত সকল এমপি/মন্ত্রীর চেয়ে আমি সবচেয়ে বেশী উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।’ অন্যদিকে, শাহজাদপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি কেএম তারিকুল ইসলাম আরিফ বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে এলাকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজেরা কয়েক ভাই গার্মেন্টস শিল্পপতি হওয়ায় তাদের কারখানায় চাকুরি দিয়ে শাহজাদপুরের বেকার যুবকদের অনেকেরই বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন পরিবারের বিভিন্ন বেকার যুবক তাদের কাছে চাকুরি করে এ সুবাদে এবং বিএনপি দলের নেতা হিসেবেও তার রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। এ আসনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে তিনি সক্ষম হবেন বলে তার সমর্থকেরা দাবী করেছেন। বিএনপি’র অপর সাম্ভাব্য প্রার্থী ড. এমএ মুহিত বন্যায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বিএনপি’র মনোনয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ড. এমএ মুহিত সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ ডাঃ এমএ মতিনের সুযোগ্য সন্তান। তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন বলে তার সমর্থকেরা দাবী করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা গোলাম সরোয়ার গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জানান দিয়েছেন। উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হোসাইন শহিদ মাহমুদ গ্যাদন ঢাকায় অবস্থান করে মাঝে মধ্যে এলাকায় আসেন আবার দীর্ঘদিনের জন্য ঢাকায় চলে যান। তিনিও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাবেক কলেজ ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম ছালাম গত ঈদুল আযহায় পোস্টারিং করে এবং কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

উদ্বোধনের ফিতা কাটার মুহূর্তে ভেঙে পড়ল সেতু

আন্তর্জাতিক

উদ্বোধনের ফিতা কাটার মুহূর্তে ভেঙে পড়ল সেতু

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সেখানে থাকা সবাই। সরকারি কর্মকর্তা ওই নারী পাশে থাকা একজনকে আঁকড়ে ধরে ভারসাম্য রক্ষার চে...

বেলকুচিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শ্রমিকদের অর্থ সহায়তা

সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ

বেলকুচিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শ্রমিকদের অর্থ সহায়তা

জেলার বেলকুচি উপজেলায় কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্রতাঁতী ও তাঁত শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্...

শাহজাদপুরে ‘প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’কে গণসংবর্ধনা প্রদান

রাজনীতি

শাহজাদপুরে ‘প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’কে গণসংবর্ধনা প্রদান

শামছুর রহমান শিশির : আজ মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাদপুর পৌর এলাকার শক্তিপুরস্থ প্রয়াত ড. মযহারুল ইসলামের বাসভবনে কেন্দ্রীয় আও...

মোস্তাফিজকে হারাতে হবে বলে মন খারাপ ধোনিদের

খেলাধুলা

মোস্তাফিজকে হারাতে হবে বলে মন খারাপ ধোনিদের

তাই তাঁর পারফরম্যান্সে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি। আজ আবার মাঠে নামছে চেন্নাই। আজ...

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

কৃষি

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতো হুবহু এই বাঁশ ফুলের চাল। ভাত, পোলাও, আটা কিংবা পায়েস সব কিছু তৈরি হচ্ছে বাঁশ ফুলের চাল থেকে।...

৬ বছর ৮ মাসে লেখা কোরআন শরিফের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী চলছে সাতক্ষীরায়

বাংলাদেশ

৬ বছর ৮ মাসে লেখা কোরআন শরিফের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী চলছে সাতক্ষীরায়

৪০৫ কেজি ওজনের কোরআন শরিফটি লিখতে হাবিবুর রহমান ৪০৮টি আর্টপেপার ও ৬৬০টি কলম ব্যবহার করেছেন