শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
PANI আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস।বাংলাদেশের পেক্ষাপটে পানি দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে অন্যতম। গত তিরিশ বছর ধরে বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১.৪ ভাগ হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। এবারের পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে পানি এবং স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন‘(ওয়াটার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট)। ১৯৯৩ সাল থেকে সারাবিশ্বে ২২ মার্চ পানি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় এনে ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCED) ১৯৯২ সালের ২১ মার্চ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরে এক সেমিনারের আয়োজন করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পানি দিবসের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানায় সংস্থাটি। বিষয়টির যৌক্তিকতা অনুভব করে ১৯৯৩ সালে ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। সেই থেকে সমগ্র বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে বেশ গুরুত্বসহকারে। আজ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে বাংলাদেশেও। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গ্রাউন্ড ওয়াটার এ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে ২০১০ সালে বিশ্বে যে ১৫টি দেশ সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে তাদের মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইরানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশে ২০১০ সালে ৩০.২১ কিউবিক কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ৮৬ ভাগ সেচ কাজে, ১৩ ভাগ গৃহস্থালী এবং ১ ভাগ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বিএডিসির তথ্যানুযায়ী ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অগভীর নলকূপের সাহায্যে সেচের পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৪১ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে ১৩ হাজার ৬৯১ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ১৬ লাখ অগভীর নলকূপের মধ্যে ৪ লাখ অকেজো হয়ে পড়ে। পরিবেশ সংগঠন নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিগত ৩০ বছর (১৯৮১-২০১০) ধরে বার্ষিক গড় ১.৪% হারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর সবচেয়ে বেশি নেমেছে রাজশাহীতে। প্রতি ইউনিট এলাকায় নলকূপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে প্রতিটি নলকূপের আওতাধীন এলাকা ১৯৮৪-৮৫ হতে ২০১০-১১ অত্যন্ত কমে ১৪.৫ থেকে ২.৮ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। গড়ে নদীর পানির স্তর ১৯৮১ হতে ২০১০-এর মধ্যে ২০ মিটার থেকে কমে ১৯ মিটারে দাঁড়িয়েছে। এই হ্রাস প্রবণতা ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত। ১৯৮৯-২০১০ সালের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমের মোট জলাভূমির প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হারিয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে ধারণা করা যায় যে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার টেকসই/দীর্ঘস্থায়ী নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং খুলনা বিভাগে কৃষিকাজের জন্য গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে অতিমাত্রায় পানি অহরণ করা হচ্ছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ার কারণে শুকনো মৌসুমে নদীর প্রবাহ দ্রুত শুকিয়ে যায়। পুকুর, জলাশয় এবং হস্তচালিত নলকূপ থেকে সাধারণ মানুষ তার প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতে পারে না। সেখানকার মানুষের জীবনযাপনে সৃষ্ট এ সঙ্কট নিরসনকল্পে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা না হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি অধরাই থেকে যাবে। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়া না হলে বিশ্ব বড় ধরনের পানি সংকটে পড়বে। এতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এমন হুশিয়ারি জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানায়, বর্তমানে পানি অপব্যবহার একটি বড় সমস্যা। এ প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ৪০ শতাংশ পানি ঘাটতি দেখা দিতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি আসন্ন পানি সংকটের প্রধান কারণ। পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৭৩০ কোটি জনসংখ্যা রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৮ কোটি লোক বাড়ছে। এ হারে জনসংখ্যা বাড়লে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেড়ে ৯১০ কোটিতে দাঁড়াবে। অতিরিক্ত এ জনসংখ্যার খাবার জোগাতে বিশ্বে কৃষি উৎপাদন প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। কৃষি খাতে বর্তমান মোট পানির প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যয় হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ নদী ও শাখানদী, ৯৮ হাজার হেক্টর জলাধার এবং ২৪ হাজার কিলোমিটারেরও অধিক নদী-নালার একটি বিশাল অংশ হয় শুকিয়ে গেছে বা ভরাট হয়ে গেছে। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মানবসৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশে এক বছরে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে ঢাকার পানি দূষণের জন্য ক্ষতির পরিমাণ ৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আমরা জানি, সমগ্র বিশ্বের মোট মজুদ পানির পরিমাণ এক হাজার ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন। তার মধ্যে সমুদ্রে সঞ্চিত লবণাক্ত পানির পরিমাণ ৯৭.২ শতাংশ, যা মোটেই পানযোগ্য নয়। অপরদিকে ২.১৫ শতাংশ পানি জমাটবদ্ধ হয়ে আছে বরফাকারে। সেটিও পানযোগ্য নয়। বাকি ০.৬৫ শতাংশ পানি সুপেয় হলেও প্রায় ০.৩৫ শতাংশ জল রয়েছে ভূগর্ভে, যা উত্তোলনের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন পানযোগ্য পানির চাহিদা পূরণ করতে হয়। এটি আমাদের কাছে বিশুদ্ধ জল হিসেবে পরিচিত। এ পানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে প্রতিটি মানুষের জন্য দৈনিক গড়ে ৩ লিটার হারে। ভূগর্ভস্থ পানি ছাড়া নদ-নদী, খাল-বিল কিংবা পুকুর-জলাশয়ের জল সুপেয় হলেও তা বিশুদ্ধ নয়। তবে সেটিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। বিশেষ করে গোসলাদি, রান্না-বান্না, জামাকাপড় ধোয়ার কাজে এ পানির ব্যাপক প্রয়োজন পড়ে। তাতে করে একজন মানুষের সব মিলিয়ে গড়ে ৪৫ থেকে ৫০ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। অবধারিত বাস্তবতাটি হচ্ছে, বিশ্বের মোট আয়তনের তিন ভাগ জলরাশি হলেও বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছে ৮০টি দেশের প্রায় ১১০ কোটি মানুষ। এছাড়াও প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ১৮ লাখ শিশু প্রাণ হারাচ্ছে শুধু দূষিত পানি পান করে। বিশুদ্ধ পানির অভাবের নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, খরা, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যাওয়া এবং আর্সেনিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতা আর মাত্র ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই বিশ্বের ১৪৫ কোটি মানুষ সুপেয় পানি সংকটের মুখোমুখি হবে। এশিয়া মহাদেশে ১২০ কোটি এবং আফ্রিকা মহাদেশে ২৫ কোটি মানুষ এর আওতায় পড়বে। এর থেকে বাদ যাবে না বাংলাদেশের মানুষও। বরং তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ বেশি পানি সংকটে পড়বে। আমরা পানির প্রচলিত বেশ কিছু ব্যবহার সাধারণভাবে জানি। কিন্তু উন্নয়নে পানির ভূমিকা আরও ব্যাপক। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশের জন্য। ২০১৩ সালে 'বাংলাদেশ পানি আইন' পাস হয়েছে। এতে পানি ব্যবহারের এক ধরনের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে। আইনটির ১৮(১) ধারায় বলা হয়েছে_ 'জাতীয় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বার্থে, পানি সংকটাপন্ন এলাকার পানির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, নিম্ন ক্রমানুযায়ী পানির আহরণ বা ব্যবহার করিতে হইবে, যথা : (ক) খাবার পানি; (খ) গৃহস্থালি কাজ; (গ) কৃষি কাজ; (ঘ) মৎস্য চাষ; (ঙ) পরিবেশের ভারসাম্য; (চ) বন্যপ্রাণী; (ছ) নদীতে পানিপ্রবাহ অক্ষুণ্ন রাখা; (জ) শিল্প খাত; (ঝ) লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ; (ঞ) বিদ্যুৎ উৎপাদন; (ট) বিনোদন; এবং (ঠ) অন্যান্য।' এবারের পানি দিবসেও প্রতিপাদ্য অনেকটা সেই ভঙ্গিমায় প্রণীত। তারা বলছে, সুপেয় ও স্বাস্থ্যকর পানির সঙ্গে মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্নটি জড়িত। ফলে সবার আগে পানি দিয়ে জীবন ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তারপর অন্যান্য প্রেক্ষিতগুলো আসবে। আমাদের দেশে মোটা দাগে একটা হিসাব করা হয় যে পানির ব্যবহারের পঁচাশি ভাগই যায় কৃষিতে, দশ ভাগ শিল্পে এবং পাঁচ ভাগ অন্যান্য ক্ষেত্রে। আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তর এখনও প্রভাব ফেলার মতো পর্যায়ে যেতে পারেনি। অনেকটা কাগুজে বাঘের মতো। সেই সুযোগে যেভাবে পানিতে শিল্পদূষণ চলছে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারখানায় ইটিপি বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সেই ইটিপি সবসময় চালানো হয় না। পরিদর্শক এলে চালায়, চলে গেলে আবার বন্ধ থাকে। শিল্প খাতে এই পরিস্থিতি রেখে পানির টেকসই ব্যবহার কখনই সম্ভব নয়। পানি ছাড়া মানব অস্তিত্ব অসম্ভব। আমাদের শরীরের শতকরা ৫০-৬৫ ভাগ পানি। একটি নবজাতকের দেহের প্রায় ৭৮ শতাংশ পানি। তা ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন সব কাজেই পানির প্রয়োজন হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী একজন মানুষের দৈনন্দিন গড়ে ৭.৫ লিটার পানির প্রয়োজন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত সেবা নিতে প্রত্যেকের জন্য দৈনন্দিন গড়ে ২০ লিটারেরও অধিক পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনও ৭৪৮ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত এবং ২.৫ বিলিয়ন মানুষ এখনও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা পায় না। বলা হয়ে থাকে, পানি এবং শক্তি হলো প্রাকৃতিক বন্ধু। শক্তি উৎপাদনে পানির প্রয়োজন, আবার পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজন শক্তি। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় পানি-প্রকল্প থেকে। এ ছাড়া ৮০ শতাংশ শক্তি উৎপন্ন হয় তাপ বিদ্যুৎ থেকে, যা পানি ছাড়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া পানি আমাদের খাদ্য। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনও পানি ছাড়া হয় না। এক ক্যালরি পরিমাণ খাদ্য উৎপাদনের জন্য এক লিটার পানি সেচের প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ পানি ব্যবহার হয় সেচের কাজে, এবং পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ পানি ব্যবহার হয় কৃষি কাজে। এটি অবশ্যম্ভাবী যে, পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়বে এবং সেজন্য অধিক খাদ্যেরও প্রয়োজন হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে পানির ব্যবহার। এ ক্ষেত্রে পানির প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়ে অনেকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন, এক কেজি চাল উৎপাদন করতে লাগে ৩৫০০ লিটার, আর এক কেজি মাংস উৎপাদন করতে লাগে ১৫ হাজার লিটার। এজন্য উৎপাদনে বেশি পানি গ্রহণকারী খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া একটি টেকসই ব্যবস্থা হতে পারে। আবার বলা হয়ে থাকে, পানি হলো সমতা। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত পানি ব্যবহারের যেমন সমতা নিয়ে আসতে হবে, তেমনি পানির দৈনন্দিন ব্যবহারে নারী-পুরুষ ভেদাভেদও দূর করতে হবে। একটি হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিদিন নারীরা ২০০ মিলিয়ন ঘণ্টা ব্যয় করে পানি সংগ্রহের জন্য। এ ছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীরা তাদের দিনের ২৫ শতাংশ ব্যয় করে পানি সংগ্রহের জন্য, যেটা অর্থনৈতিকভাবে উৎপাদনশীল নয়। পানির যথার্থ ব্যবহার আমাদের জীবন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এই প্রজন্ম নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে প্রয়োজন পানির সুষ্ঠু ব্যবহার। শুধু অর্থনীতির পরিমাণগত উন্নয়ন নয়, অর্থনীতির গুণগত উন্নয়ন অবশ্যই বিচার্য। একমাত্র আমরাই পারি এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে; আর সেক্ষেত্রে অন্যতম নির্ধারক হলো পানির টেকসই ব্যবহার। সেকারনে আন্তরিকতার সঙ্গে পানি সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হওয়া জরুরি।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে ল্যাম্পি স্কিন রোগে  আক্রান্ত গরু

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মিজানুর রহমান বলেন, ‘নতুন এ রোগটি দেখা দেয়ায় কৃষকেরা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ...

উদ্বোধনের ফিতা কাটার মুহূর্তে ভেঙে পড়ল সেতু

আন্তর্জাতিক

উদ্বোধনের ফিতা কাটার মুহূর্তে ভেঙে পড়ল সেতু

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সেখানে থাকা সবাই। সরকারি কর্মকর্তা ওই নারী পাশে থাকা একজনকে আঁকড়ে ধরে ভারসাম্য রক্ষার চে...

আপাতত গরম কমছে না

জাতীয়

আপাতত গরম কমছে না

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। দেশের মোট ১৬ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তা প্রবাহ বয...

যেভাবে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছিলেন নবিজি (সা.)

ধর্ম

যেভাবে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছিলেন নবিজি (সা.)

ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ...

দেশে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন চয়ন ইসলাম

রাজনীতি

দেশে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন চয়ন ইসলাম

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম শারীরিক চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে উপজেলা আওয়ামী...

আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের

খেলাধুলা

আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের

মুুহিতের রেকর্ড খরুচে বোলিংয়ের ম্যাচে ৪ উইকেটে ২২৪ করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারে ৪ রানে হারে...