বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
আজ ৭ জুন, বাঙালির মুক্তির সনদ- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ৭ জুন বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে আত্মত্যাগে ভাস্বর গৌরবোজ্জল সংগ্রামের দিন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে গণআন্দোলন সূচিত হয়। যার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতার সংগ্রামে উন্নীত হয়। বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ নিয়ে যখন এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন তিনি তাঁর নিজ দলের অনেক নেতাদের ওপর আস্থা কিম্বা ভরসা রাখতে পারছিলেন না। তখন তিনি অপেক্ষা করছিলে কখন কোন সময়ে কিভাবে জাতির সামনে ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করা যায়। এদিকে ছাত্রলীগ ৬ দফাকে আঁকড়ে ধরে এই দফাগুলোর দাড়ি কমার কোন পরিবর্তন না করে এর সাথে আরো ৫ দফা দাবী সংযুক্ত করে ছাত্রদের ১১ দফা দাবীতে রূপান্তর করে। এ নিয়ে তার পূর্বপাকিস্তানের সর্বত্র দাবির প্রতি জনমত তৈরীর কার্যক্রম চালাতে থাকে ছাত্রলীগ। এসময় বঙ্গবন্ধু জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের ৩ সদস্যের একটি দলকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ দফার প্রচার কার্যক্রম চালানোর জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন সে সময়ের রাকসুর নির্বাচিত ভিপি আবদুর রহমান। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে তাঁকে আওয়ামী লীগের গণপরিষদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী করে ছিলেন। ঐ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচীতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ থেকে গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। সেদিন পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষায় ছয় দফা মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ছয় দফার সমর্থনে ১৯৬৬ সালের ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভায় ৭ জুন হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। মাসব্যাপী ৬ দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়। ৭ জুন হরতাল চলাকালে তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল বেভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া পাকিস্তানী স্বৈরশাসকের গুলিতে প্রাণ হারান। আজাদ এনামেল এ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআরের গুলিতে শহীদ হন। নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যায় আরও ৬ শ্রমিক। ঐদিন শহীদ হন ১১জন শ্রমিক। আন্দোলনের প্রচ তীব্রতায় লাখো বাঙালি মাঠে নেমে পড়ে। সন্ধ্যায় জারি করা হয় কারফিউ। রাতে হাজার হাজার আন্দোলনকারী বাঙালিকে গ্রেফতার করা হয়। এমনিভাবে ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদের রক্তে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন। মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার প্রধান সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম তারিখ- ৭ জুন, ২০২০ খৃষ্টাব্দ।

সম্পর্কিত সংবাদ

এনডিপি’র মামলায় বিনাদোষে নিরীহ ব্যবসায়ীর ২ দিন হাজতবাস!

অপরাধ

এনডিপি’র মামলায় বিনাদোষে নিরীহ ব্যবসায়ীর ২ দিন হাজতবাস!

শামছুর রহমান শিশির, বিশেষ প্রতিবেদক : ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখা-০৮ থেকে ঋণ...

শাহজাদপুরে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং শুভ উদ্বোধন

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং শুভ উদ্বোধন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা বাজারে শুভ উদ্বোধন করা হ...

ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকা থেকে ১১ দিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া শাহজাদপুরের কিশোরী লিমা বাড়ি ফিরলো

তথ্য-প্রযুক্তি

ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকা থেকে ১১ দিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া শাহজাদপুরের কিশোরী লিমা বাড়ি ফিরলো

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি সম্বলিত ‘হারানো বিজ্ঞপ্...

শাহজাদপুরে বিয়ের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর আমরণ অনশন

শাহজাদপুরে বিয়ের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর আমরণ অনশন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত দুইদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পারকোলা গ্রামের শের আলীর কন্...

শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে শীতবস্ত্র বিতরন

শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে শীতবস্ত্র বিতরন

মো:মামুন বিশ্বাস,শাহজাদপুর ,সিরাজগঞ্জ: শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসদরের পাড়কোলা গুচ্ছ গ্রামে শ...

স্বাস্থ্যকর দিনের শুরুর জন্য 'মর্নিং সেক্স'