শাহজাদপুরে ১০ দিন পর অপহৃত শিশুর লাশ উদ্ধার; এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ আগস্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : অপহরণের ১০ দিন পর শাহজাদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামের দুই বছরের শিশুপুত্র আব্দুস ছালামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলীর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের ডিবি পুলিশ ও শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল যৌথভাবে রায়পুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাশের বাড়ির টয়লেটের স্লাবের ভিতর থেকে ওই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের আকছেদ আলীর ২ বছরের শিশুপুত্র আব্দুস ছালাম গত ২ আগষ্ট নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরদিন তার ঘরের দরজার সামনে একাধিক চিরকুট পাওয়া যায়। এসব চিরকুটে অপহরণকারীরা শিশুটির মুক্তিপন হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আরেকটি চিরকুটে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট শিশুর পিতা থানায় একটি জিডি করলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করে। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সুত্র ধরে পুলিশ একই গ্রামের আম

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ আগস্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : অপহরণের ১০ দিন পর শাহজাদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামের দুই বছরের শিশুপুত্র আব্দুস ছালামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলীর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের ডিবি পুলিশ ও শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল যৌথভাবে রায়পুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাশের বাড়ির টয়লেটের স্লাবের ভিতর থেকে ওই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের আকছেদ আলীর ২ বছরের শিশুপুত্র আব্দুস ছালাম গত ২ আগষ্ট নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরদিন তার ঘরের দরজার সামনে একাধিক চিরকুট পাওয়া যায়। এসব চিরকুটে অপহরণকারীরা শিশুটির মুক্তিপন হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আরেকটি চিরকুটে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট শিশুর পিতা থানায় একটি জিডি করলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করে। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সুত্র ধরে পুলিশ একই গ্রামের আমির চান নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে আমির চানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশ আমির চানের অভিযান চালিয়ে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে রোববার শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী ঘটনার সততা স্বীকার করে জানান, মুক্তিপনের আশায় আমির চান শিশুটিকে অপহরন করে তার নিজ ঘরে আটকে রাখে। মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে ফুটফুটে শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা কওে টয়লেটের স্লাবের ভিতর ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ খাজা গোলাম কিববিরা জানান, ঘাতক আমির চানকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য শাহজাদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গোটা শাহজাদপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।