সিরাজগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামীদের উপস্থিতিতে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কোবদাসপাড়া মহল্লার মোঃ আব্দুল মমিন (৪০) ও হাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪২)।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাদ দিয়ে তিনি জানান, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে শহরের রানীগ্রাম মহল্লার আবু বক্কার এর স্ত্রী তাছলিমা খাতুন স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়না হন। তিনি রানীগ্রাম ক্লোজার এলাকায় রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কোবদাসপাড়া মহল্লার মমিন, হাফিজুল ইসলাম বাবু, সাগর, রাসেল ও ফিরোজ তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাকে কোবদাসপাড়া মহল্লায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের ১নং গেইটের পাশে স্তুপকৃত সিসি ব্

মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামীদের উপস্থিতিতে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কোবদাসপাড়া মহল্লার মোঃ আব্দুল মমিন (৪০) ও হাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪২)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বরাদ দিয়ে তিনি জানান, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে শহরের রানীগ্রাম মহল্লার আবু বক্কার এর স্ত্রী তাছলিমা খাতুন স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়না হন। তিনি রানীগ্রাম ক্লোজার এলাকায় রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কোবদাসপাড়া মহল্লার মমিন, হাফিজুল ইসলাম বাবু, সাগর, রাসেল ও ফিরোজ তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাকে কোবদাসপাড়া মহল্লায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের ১নং গেইটের পাশে স্তুপকৃত সিসি ব্লকের আড়ালে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রায় দুই ঘন্টা পর ধর্ষিতা তাছলিমাকে রিকশায় তুলে দিয়ে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাছলিমা খাতুন নিজেই বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ৫জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। শুনানী শেষে বিচারক মমিন ও হাফিজুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।