শাহজাদপুরে পানির নিচে ২০০ হেক্টর জমির পাকা ধান

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনাসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার বেশ কিছু স্থানে আগাম বন্যার পানি ঢুকে ও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির পাকা ধান ডুবে গেছে।

কৃষকরা হাঁটু, কোমর ও বুক সমান পানিতে নেমে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।

অপরদিকে রবিবার ভোরে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর নিমাইগাড়ি এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার ৩ বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

এ ধানকাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় করোনায় বাড়িতে বসে থাকা স্কুলকলেজের ছাত্রদের দিয়ে ধান কাটার কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের উল্টাডাব গ্রামের সাধু সরকার, নাঈম ইসলাম, রবিউল ইসলাম, কবিরুল ইসলাম, নাফিজ হোসেন, দোলন হোসেন, ইয়ামিন আলী, ইউনুস আলী, লিপটন সরকারসহ অনেকে বলেন, আর ১ সপ্তাহ গেলেই আমাদের এলাকার অধিকাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে যেত। কিন্তু হঠাৎ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল বৃষ্টির কারণে আমাদের অধিকাংশ নিচু জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। নিরূপায় হয়ে আমরা পানি

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনাসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার বেশ কিছু স্থানে আগাম বন্যার পানি ঢুকে ও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। কৃষকরা হাঁটু, কোমর ও বুক সমান পানিতে নেমে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রবিবার ভোরে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর নিমাইগাড়ি এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার ৩ বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এ ধানকাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় করোনায় বাড়িতে বসে থাকা স্কুলকলেজের ছাত্রদের দিয়ে ধান কাটার কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের উল্টাডাব গ্রামের সাধু সরকার, নাঈম ইসলাম, রবিউল ইসলাম, কবিরুল ইসলাম, নাফিজ হোসেন, দোলন হোসেন, ইয়ামিন আলী, ইউনুস আলী, লিপটন সরকারসহ অনেকে বলেন, আর ১ সপ্তাহ গেলেই আমাদের এলাকার অধিকাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে যেত। কিন্তু হঠাৎ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল বৃষ্টির কারণে আমাদের অধিকাংশ নিচু জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। নিরূপায় হয়ে আমরা পানিতে ডুব দিয়ে পাকা ও আধা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছি। এ ধান না তুলতে পারলে আমাদের সারা বছর অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হবে। এমনিতেই আমরা করোনার কারণে চরম লোকসানে পড়েছি। এর উপর ধান ডুবে যাওয়ায় আমাদের চরম ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কেমন করে পুষিয়ে নেব তা ভেবে পাচ্ছি না। তারা আরও বলেন, হঠাৎ পানিতে ধান ডুবে যাওয়ায় ধানকাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ৫০০ টাকা করে মজুরি দিয়েও ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে করোনায় গৃহবন্দি স্কুল-কলেজের ছাত্র ও বাড়ির মহিলাদের দিয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে। ফলে আমাদের এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা ধানকাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস সালাম জানান, এ উপজেলার প্রায় ২০০ হেক্টর নিচু জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। কৃষকরা এ সব ডোবা ধানের অধিকাংশই কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।