শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
sight বর্তমান বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি মানুষ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ২০২০ সালের মধ্যে অন্ধত্বের হার হবে দিগুণ। বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধত্ব এবং স্বল্প দৃষ্টি জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী, দৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ হয়েছে, এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। প্রতিবছর নতুন করে বছরে ১২ হাজার মানুষ দৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টও এবং জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক জালাল আহমেদ। ২১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক দৃষ্টি দিবস ৯ অক্টোবর হলেও বাংলাদেশে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আর নয় অকারণ অন্ধত্ব’। এ উপলক্ষে জালাল আহমেদ মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চক্ষু আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ উদাসীন। দেশের সাধারণ মানুষের যদি কী কারণে অন্ধত্ব হয় এর প্রাথমিক কোনো ধারণা রাখতো তাহলে অন্ধত্বের হার অনেকাংশে কমে যেত। এ বিষটি মাথায় রেখেই এবারের প্রতিপাদ্যটি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু দিন আগে একটি সার্ভে করেছি সেটি আগামী মাসের ২৬ তারিখে জানানো হবে। এ সার্ভেটিতে অনেক অন্ধত্ব এবং দৃষ্টির ওপর না জানা অনেক তথ্য রয়েছে।’ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কো-চেয়ার ডা. আবু রায়হান মিডিয়াকে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একজন মানুষ এবং প্রতি এক মিনিটে এক জন শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। আমরা আর্ন্তজাতিক ভাবে জোটের মাধ্যমে কাজ করছি যেন এর হার কমিয়ে আনা যায়। তবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের আন্তরিকতা বাড়াতে হবে। তাহলে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার কমে আসবে। আর যারা চোখ হারিয়েছেন সমাজের বোঝা হয়েই বেঁচে আছেন। নানা প্রতিকূলতায় জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে হয় তাদের।’ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রসঙ্গে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘অবহেলা না করে তাদের পাশে থাকে বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে জানাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যাতে তারা বোঝা না হয়। স্বাভাবিক মানুষের মতো কর্মক্ষম করে তুলতে চেষ্ট করতে হবে। আর এর জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারে তাদের বাবা-মা।’ উল্লেখ্য, শনিবার পলিত হয়েছে সাদা ছড়ি দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) অন্ধদের সহায়তার জন্য বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। তাদের দাবি, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাদাছড়ি ব্যবহারে পারদর্শী করে তোলার অংশ হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায়ধীন দৃষ্টিপ্রতিন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ ও সমন্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে সাদাছড়ি ব্যবহার বিষয়ে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রয়োজন। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে আসন বরাদ্দ করা দরকার। সকল স্থাপনা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ সকল প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা, সাদাছড়ির গুরুত্ব সম্বন্ধে যানবাহনের চালককে সচেতন ও সাবধানী হওয়ায়র জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সময় শর্থ আরোপ করতে দাবি জানায় বাংলাদেশ ভিস্যুয়েলি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি।

সম্পর্কিত সংবাদ

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

উল্লাপাড়া

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

তানিম তূর্যঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর পুকুর থেকে ইয়াম ইসলাম( ৮) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে...

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

অর্থ-বাণিজ্য

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর উপজেলা সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির নব-নির্বাচিত ক...

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা

উপ-সম্পাদকীয়

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা