
ত্বক পরিষ্কার রাখুনঃ দিনে দুইবার কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে এরপর ফেস-ওয়াস লাগাবেন। বাইরে গেলে বাসায় এসে অবশ্যই তেল মুক্ত ফেস-ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। এছাড়া সারাদিনে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এতে করেও আওতিরিক্ত তেল চলে যাবে।
ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুনঃ দিনে যখন মুখের তেলের কারণে মুখ খুব ঘামবে শোষক কাগজ বা টিস্যু পেপার দিয়ে হাল্কা চাপ দিয়ে ঘাম মুছে ফেলবেন।
প্রচুর পানি পান করুনঃ অন্তত ৮ গ্লাস প্রতিদিন।
অয়েল-ফ্রি কসমেটিকস ব্যবহার করুনঃ কসমেটিকস কেনার আগে অয়েল-ফ্রি নাকি চেক করে নিবেন। মিনারেল বেসের কসমেটিকস কেনার চেষ্টা করবেন। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন বা শুধু প্যানকেক ব্যবহার করবেন। ক্রিম জাতীয় আই-শ্যাডো ও ব্লাশ-অন না কিনে পাউডার জাতীয় ব্লাশ-অন ও আই-শ্যাডো কিনবেন। কসমেটিকস কেনার সময় তাতে লেবেল আছে নাকি খেয়াল করে দেখবেন। এই লেবেল যুক্ত কসমেটিকস আপনার জন্য উপযোগী।
তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ কসমেটিকসের দোকানেই নানা ব্র্যান্ডের ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার পেয়ে যাবেন যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই বানানো।
অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করুনঃ ত্বকের যেখানে তেল এর পরিমাণ বেশি সেখানে মুখ ধোয়ার পর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগালে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।
মুখের উপর চুল রাখবেন নাঃ তৈলাক্ত ত্বকের উপর চুল আসলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেরে যায়। তাই চুলে ব্যাংস কাট দেয়া থেকে বিরত থাকুন ও কপাল থেকে চুল সরিয়ে রাখুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিছু মাস্কঃ
আপনার যদি কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে ইচ্ছা না হয় তাহলে ঘরে বসেই কিছু মাস্ক বানিয়ে নিতে পারবেন যা ক্ষেত্র বিশেষে ক্লিনজার ও টোনারের কাজ করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে ১ চা চামচ লেবু বা শসার রস ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটি ক্লিনজারের কাজ করবে। দিনে ৩ বার শুধু অ্যালো-ভেরা জেল লাগান মুখে। ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন মুখ। এটি আপনার মুখের তেল শুষে নিবে। অ্যালো-ভেরা জেলের সাথে ওটমিল মিশিয়ে মিশ্রন বানিয়ে তা দিয়ে স্ক্রাবিং করুন দিনে ১ বার। ১ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ারের সাথে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মাস্ক দিনে ১ বার শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কিছু জিনিস মাথায় রাখুনঃ লাল মাংস, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, ফ্রাই করা খাবার, সোডা, খেলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব আসে। তাই এসব খাবার কম খাবেন। টোনার, ক্লিনজার ব্যবহার করেও তেল কন্ট্রোল না করতে পারলে ডার্মাতোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে শক্তিশালী কোন ক্রিম ব্যবহার করুন।
সম্পর্কিত সংবাদ
                    ৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...
                    আইন-আদালত
৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত
শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...
                    রাজনীতি
সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত
অনলাইন ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন...
