শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর প্রতি রইলো স্বশ্রদ্ধ ছালাম। আমাদের সবিনয় আহব্বান ও আবেদন

আইন প্রননয়ন করে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ঘোষিত হলফনামা নেয়া হোক।

হলফনামায় যে বিষয়গুলো থাকা বাঞ্ছনীয় ----------- ১। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমানিত হলে ১০ বছরের স্বেচ্ছা কারাদন্ডে দন্ডিত হবো। ২। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমানিত হলে, ভাতা ও চাকুরীতে গ্রহনকৃত সুযোগ সুবিধাদি সহ আরো কোন আর্থিক সুযোগ সুবিধা গ্রহনকৃত অর্থ সুদে আসলে ফেরত প্রদান করতে বাধ্য থাকিব। ৩। পোষ্যরা চাকুরীতে থাকলে, তাদের বরখাস্ত করা হলে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা। ৪। এ বিষয়ে আমি কখনো আইন আদালতের আশ্রয় লইবোনা। ৫। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর করা হোক। ১৯৯০ ইং সালে এবং পরবর্তী বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তি কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের মাধ্যেম অর্থের বিনিময়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়ে ভাতা,রেশনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছেন। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সালে, ৯০ সালে এসে হঠাৎ করে তাদের স্মরণ হলো ওনারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাও আবার যুদ্ধাহত। কি বিচিত্র মানুষের চরিত্র। কল্যাণ ট্রাষ্টের কল্যাণ কর্মের নমুনা দেশবাসী জানেন। কিন্তু অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছেনা। ৬। মৃত ব্যাক্তির ওয়ারিশগণ যদি কোন সুযোগ সুবিধাদি নিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও এ হলফনামা প্রযোজ্য হবে। ৭। যারা ইতোমধ্যে গেজেটসহ বিভিন্ন তালিকার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, তালিকাভুক্ত হয়ে ভাতা রেশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য এ হলফনামা প্রযোজ্য হবে। আমাদের আবেদন- ১। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হোক। ২। যে পদ্ধতিতে বিএনপি জামাত জোট সরকার যাচাই-বাছাই করেছে, সেই একই পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার আওয়ামীলীগ কার্যকর করবেন কেন? বিএনপি-জামাত জোট ঐ পদ্ধতি কার্যকর করেছিল, ভুয়া ব্যক্তি, সুযোগ সন্ধানী, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, পাকিস্থান ফেরত সেনাবাহিনী, যুদ্ধকালীন পূর্ব পাকিস্থানে চাকুরীরত পাকবাহিনীর সহযোগি- পুলিশ, ইপিআর, সেনাসদস্য, রাজাকার ও আলবদর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করার জন্য। সেই একই পদ্ধতিতে এখনো যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হলে তালিকার মধ্যে থাকা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কখনই বাদ দেয়া সম্ভব হয়নি, হচ্ছেনা, হবেও না। ৩। তারা এখনও সদল বলে বিএনপি জামাতের মুক্তিযোদ্ধা। ৪। অতীতে অর্থের বিনিময়ে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়ে রাষ্টের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসছে, এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলমান যাচাই-বাছাই চলাকালে অর্থের বিনিময়ে ভুয়ারাতো বাদ যাচ্ছেই না, নতুন করে আরো ভুয়ার জন্ম হচ্ছে। এ সত্য অস্বীকার করবার উপায় নেই। ৫। অতীতে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যকোঠায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় যাদের চাকরী হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কিনা? এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চেতনায় বিশ্বাসী কিনা? এর অনুসন্ধান জরুরী। এ বিষয়ে সতর্ক না হলে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের জীবন সংকটের আশংকা থেকে যায়। ৬। আমরা মনে করি- প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাইন্সিল (জামুকা) এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিচারপতি ও আইন বিষারদ,গবেষক,জীবিত সেক্টর কমান্ডারদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। আবেদন কার্যকর করা হোক। ৭। সরকারে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টিমের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে গোপনে গোপনে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য অনুসন্ধান করা হোক। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে তথ্য নেয়া যেতে পারে। ৮। প্রথম ধাপে প্রত্যেকটি থানা এলাকায় জরিপ করে ভুয়াদের দুই একজনের তাৎক্ষনিক জেল জরিমানার উধাহরণ সৃষ্টি করতে পারলেই। মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার কিম্বা ভাতা ও সুযোগ সবিধা নেয়ার মত সুযোগ সন্ধানীদের আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কোন তালিকায় নাম আছে- লাল, সবুজ, (মুক্তিবার্তা) কিম্বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সনদ, সাময়িক সনদ আর কোনটারই প্রয়োজন হবেনা। গ্রামের সাধারণ মানুষ জানে, কে মুক্তিযোদ্ধা, কে ভুয়া, কে আসল, কে নকল। ৯। আমাদের ভাবতে হবে, বিবেচনা করতে হবে- সনদটি, আইডি কার্ডটি কার স্বাক্ষরে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে যাচ্ছে? জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে সনদ ও আইডি কার্ডগুলো তৈরি হবে। যদি কোন ভুয়া ব্যাক্তি, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী লোকের হাতে সেটি পৌঁছে যায় তাহলে ইতিহাসের কলঙ্কের দায়ভার কে নেবেন? আমরা আর ক'দিন বাঁচবো? আমরাতো আর প্রতিবাদ করতে পারবো না, ইতিহাসের সত্যটাও বলতে পারবো না। বর্তমানে এবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবনাসংকটে আছি। বর্ধিত জীবনে আর কত ভয় পাবো? ভুয়াদের হাতে মৃত্যু হলে জাতি লজ্জা পাবে কিনা জানিনা, তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার হবে করুন মৃত্যু। পরিবার হবে শোকাহত, ইতিহাস লেখা হবে ভিন্ন ভাবে। ফেসবুক বন্ধুরা আমাকে ক্ষমা করবেন। বীরেরা একবারই মরে, বার বার মরে না। আবুল বাশার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক প্রধান সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডট কম ১০ জানুয়ারি/২০১৭ ইং। শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুর প্রগতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শিক্ষাঙ্গন

শাহজাদপুর প্রগতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শাহ মখদুমের পূণ্যভূমি ও কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্কল...

শাহজাদপুরের চা দোকানী হত্যার রহস্য উদঘাটিত

অপরাধ

শাহজাদপুরের চা দোকানী হত্যার রহস্য উদঘাটিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : শাহজাদপুর গালা ইউনিয়নের ভেড়াখোলা গ্রামে এবছর ১৯মার্চে ডোবা থেকে জামাত আলী নামের এক চা দোকানীর লাশ উ...

দিনে গরম রাতে শীত- বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ

স্বাস্থ্য

দিনে গরম রাতে শীত- বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ

চন্দন কুমার আচার্য, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দিনে গরম রাতে শীত! সিরাজগঞ্জ জেলায় ঘরে ঘরে সর্দি জ¦র-ডায়রিয়াসহ বিভিন্...

বিলুপ্ত প্রায় ভিসিআর !

তথ্য-প্রযুক্তি

বিলুপ্ত প্রায় ভিসিআর !

শামছুর রহমান শিশির : প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের আধুনিকায়নের পদতলে পিষ্ট হয়ে এক সময়ের বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় নানা ইলেকট্রনিক্স স...

শাহজাদপুর চৌকি আদালত পরিদর্শণে বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান

আইন-আদালত

শাহজাদপুর চৌকি আদালত পরিদর্শণে বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান

শামছুর রহমান শিশির ও এমএ হান্নান : রোববার সকালে শাহজাদপুর চৌকি আদালত পরিদর্শণ করলেন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভ...

মৃত্যু পথযাত্রী দুধের শিশু আলিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

মৃত্যু পথযাত্রী দুধের শিশু আলিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মাদলা মধ্যপাড়া মহল্লার হতদরিদ্র দিনমজুর সাদ্দাম হোসেনের ও মুনিরা খাতুনের একমাত্র সন্তান আল...