শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
প্রশাসনের নাকের ডগায় শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের কৈজুরী হাটে ইজাদারের সম্মতিতেই নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের জমজমাট ব্যবসা চলছে। ফলে এলাকা থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ কারেন্ট জালে ধরা পড়ছে। এতে একদিকে যেমন দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে, অন্যদিকে মাছের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সয়লাব হয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে কৈজুরী হাট। প্রশাসনের নাকের ডগায় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (২৫জুন) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার কৈজুরী হাটের নৌকা হাটার পাশে কারেন্ট জালের বিশাল পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এর ফলে উপজেলার খালবিলে নদীনালার ছোট প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। কারেন্ট জালে সব ধরনে মাছ বেশী ধরা পড়ায় উপজেলার মৎস্য শিকারীরা এ জাল ক্রয় করছে বলে জানাগেছে। বর্ষার শুরু থেকে এ জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু করে মৎস্য শিকারীরা। এ জাল ব্যবহার করে জেলেরা বিভিন্ন নদী ও খাল-বিলে দেশি প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতার কারনে পুরপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না মৎস সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারীর নজদারীর অভাবে অবাধে এই নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারে। ফলে বিভিন্ন জলাশয় থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ২০০২ সালের সংশোধিত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন, পরিবহন, রাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ আইনটি মানছে না এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে নিষিদ্ধ এ কারেন্ট জালের ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ বিজ্ঞমহলের। এ বিষয়ে কৈজুরী হাটের ইজারাদার পেশকার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি অনান্য পট্টির মত কারেন্ট জলের পট্টিও সাব-ইজারা দিয়েছি। কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ তবুও কেন আপনি আপনার হাটে সাব-ইজারা দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেহেতু পূর্বে থেকে বিক্রি করে আসছিল সেক্ষেত্রে আমিও দিয়েছি। তিনি আরও জানান আগামীতে যেন কারেন্ট জাল হাটে না ওঠে সে ব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ বিষয়ে কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়াম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ভাবে কেহ যদি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল হটে তোলে তবে সরকারী ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, আপনাদের কাছে থেকে কারেন্ট জালের বিষয়ে জানলাম। উপজেলা মৎস্য অফিস খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলেও জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, দেখে আমাদের খবর দিয়েন আমরা গিয়ে বন্ধ করে দিয়ে আসবো। এখানে ইজারাদারের কোন ফাংশন নাই।

সম্পর্কিত সংবাদ

কবিগুরুর ছোটনদীতে ভাসবে কী আর ‘সোনার তরী’ - স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা

সম্পাদকীয়

কবিগুরুর ছোটনদীতে ভাসবে কী আর ‘সোনার তরী’ - স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) থেকে নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহানের কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার...

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

কৃষি

দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতো হুবহু এই বাঁশ ফুলের চাল। ভাত, পোলাও, আটা কিংবা পায়েস সব কিছু তৈরি হচ্ছে বাঁশ ফুলের চাল থেকে।...

শাহজাদপুরে ইউনিয়ন আ’লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজনীতি

শাহজাদপুরে ইউনিয়ন আ’লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুরের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার লক্ষে জালালপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন বাসীর...