প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাছে ২ লাখ মানুষ
মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান,সিরাজগঞ্জ থেকে: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার এলাকা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রীবাহি যানবহণ চলছে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে। গত ৩/৪ বছর ধরে সড়কটির মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়নি। সড়কটি নির্মাণ কালে নিম্নমানের হয়েছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ রয়েছে। এর উপর দীর্ঘ দিন ধরে ভারি যানবহণ চলাচল ও অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারণে এ সড়কের অধিকাংশ স্থান ভেঙ্গে গেছে। এর উপর আবার সড়কটির অধিকাংশ এলাকা জুড়ে বড় বড় খাদ ও অসংখ্য ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শাহজাদপুর উপজেলার বিন্নাদাইর থেকে জুংলিপুর পর্যন্ত এই ১৭ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরেও বিকল্প কোন উপায় না থাকায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা সহ ১০টি জেলার ২ লাখ যাত্রী নিয়ে ২ হাজার বাস-কোচ যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। জেলা গুলি হল বগুড়া,পাবনা,সিরাজগঞ্জ,টাঙ্গাইল,ময়মনসিংহ,জামালপুর,কুষ্টিয়া,যশোর ও খুলনা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সড়কের ভাঙ্গা অংশ পরিদর্শন করতে গেলে দেখা যায়,বড় বড় খাদ ও গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। তার মধ্যে দিয়েই গাড়ি গুলি চলছে। এ ব্যাপারে কথা হয় যুগনিদহ গ্রামের মজনু মিয়া,নাঈম উদ্দিন,নাফিজ উদ্দিন,নাবিল হোসেন,মোস্তাক আহমেদ, গোলাম মোস্তফা,সঞ্জয় কুমার,আহসান হাবিব,মেহেদী হাসান ও আমিনুল হকের সাথে। তারা জনান, এ সড়কটি এতোই খারাপ যে প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনা লেগেই আছে। প্রাণহানী নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। গত ৫ বছরে এ সব সড়কে ২ শতাধিক মানুষ নিহত ও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এ সব পরিবার এখন অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা আরো বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। এ উপলক্ষে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ শুরু হয়েছে। তাই বাড়তি যানবহণও চলতে থাকায় ঈদে বাড়ি মুখি মানুষের দূর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে সড়ক দূর্ঘটনাও বেড়ে গেছে আশংকা জনক হারে। তারা বলেন, সড়কের এ বেহাল অবস্থা না হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হোত না। এ জন্য তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দায়ী করে বলেন, সময় মত এ সড়কটি সংষ্কার করা হয়নি। তাই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি চালক আকবর আলী, মোবারক হোসেন, রহমত আলী, কেসমত উল্লাহ বলেন,রাস্তা খারাপের কারণে এ সড়কে দূর্ঘটনা আশংকা জনক হারে বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই গাড়ির স্প্রীং পাতি ভেঙ্গে গাড়ি উল্টে পড়ে। এ ছাড়া সড়ক খারাপের কারণে গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ বেশি নষ্ট হচ্ছে। এতে গাড়ির আয়ুষ্কাল কমে গেছে। ফলে মালিকদের চরম আর্থিক লোকসান ও দূর্ঘটনা বেড়ে গিয়ে প্রাণহানীর ঘটনা আশংকা জনক হারে বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জহুরুল আলম খান ও এসও আমীর আলী মোল্লা বলেন, রোলার মেশিন সংকটের কারণে এ সড়কটি সংষ্কার কাজ শুরু সম্ভব হয়নি। তবে কোরবানির ঈদে যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য ২/১ দিনের মধ্যেই তারা বেড়া থেকে রোলার মেশিন সংগ্রহ করে সংষ্কার কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন ,২/১ দিনের মধ্যেই এ সমস্যর সমাধাণ হয়ে যাবে।সম্পর্কিত সংবাদ
আন্তর্জাতিক
গাজা প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ
আবুল কাশেম ও শামছুর রহমান শিশির : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএ...
ডেস্ক নিউজ: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে ও গতকাল সোমবার গভীর রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।... চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নাঈমুল হাসান রনি (৩০) নামের...জানা-অজানা
শাহজাদপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ইউএনও এবং থানার ওসি
শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা
সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
আইন-আদালত
সিরাজগঞ্জে ভূয়া সার্জেন্ট গ্রেফতার