সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
কবীর আজমল বিপুল, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে শাহজাদপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার মূল আসামি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেনি। গত মঙ্গলবারের মধ্যে ধর্ষক ওই শিক্ষকের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও গত বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেনি। সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাভলু জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর থেকেই উপজেলার ভাটদিঘুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর পলাতক রয়েছে। এক পর্যায়ে গত ১১ নভেম্বর ওই শিক্ষক হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে আগাম জামিন না দিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সবুর মাস্টারের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সে তা করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নতুন নির্দেশনা চেয়ে তিনি বিষয়টি ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান শামীম ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাইকোর্ট গত ১১ নভেম্বর দুই সপ্তাহের জন্য সবুর মাস্টারকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়ে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দেন। কিন্তু সবুর মাস্টার ওই আদেশ অমান্য করে নির্ধারিত তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করেনি। ধর্ষক শিক্ষক আব্দুস সবুরকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আদালতের নতুন নির্দেশনা পেলেই তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশি অভিযান চালানো হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার ঠুঁটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৮ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে কৈজুরী ব্রিজের কাছ থেকে ভাটদিঘুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ৯ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গত ২৬ অক্টোবর রাতে পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। একই রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে সবুর মাস্টারকে আসামি করে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ইতোমধ্যেই সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ধর্ষক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই শাহজাহান আলী জানান, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী ইতোমধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২২ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে সবুর মাস্টার ও তার দুই সহযোগী তাকে ধর্ষণ করেছে বলে উল্লেখ করেছে। সূত্র মতে, ডাক্তারি পরীক্ষায় চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।       সূত্রঃ ভোরের কাগজ

সম্পর্কিত সংবাদ

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

শাহজাদপুর  প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...

৪ ফেব্রুয়ারী সালমান, সানি লিওন আসছেন ঢাকায়

৪ ফেব্রুয়ারী সালমান, সানি লিওন আসছেন ঢাকায়